এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
মঙ্গলবার, 10 অক্টোবর 2017 20:20

এখনো শুনতে পাই বারুদের গন্ধ নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                এখনো শুনতে পাই বারুদের গন্ধ

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী :

এখনো আমি বারুদের গন্ধ অনুভব করি,
এখনো আমি লাশের মিছিলে গ্রেনেডের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত
রক্ত মাংসের উপর জল্লাদের নগ্ন উল্লাস দেখি,
স্পিন্টারের যন্ত্রনায় দগ্ধ শব্দহীন মুখগুলি এখনো দেখি দুঃস্বপ্নের মতো;
ফেরাউন ইবলিশ রাবণের কথা কি  মনে আছে এখনো
নাকি ভুলে গেছো সেই মহাপ্রলয়ের দিন, বীভৎস চিৎকার?
হারানোর বেদনা ভারী হয় কম্পিত হয় খোদার আরশ
আর থেমে যাওয়া ইতিহাস মরচে ধরা কাগজকে কাছে টেনে বলে
বাঙালিরা  যেমন দেশপ্রেমিক হয় তেমনি ক্রীতদাসও  হতে পারে,
সব সম্ভবের দেশ যেন আজব চোখে চশমা লাগায়
বিশ্বাস ঘাতকরা তাই বার বার জন্মায়
বাংলাকে বানাতে চাই মৃত্যুপুরী মৃতদের শহর |

ঘাতকের গ্রেনেডের নির্মম  আঘাতে
জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দেয়,
নিস্তব্ধ করে দিতে চায় মাতৃভূমির অস্তিত্বকে
লাশের পরে লাশ আকাশ স্তম্ভিত   হয়
রক্তে ভেজা লাশের গন্ধে,
রক্ত মাটিতে লুটায়, ছোপ ছোপ লাল দাগ
সবুজ ঘাসের উপর ধিক্কার জানায়
সভ্যতাকে |
তপ্ত রক্তের মাটি দগ্ধ হয় আগুনে, পুড়ে হয় অংগার
আশা নিয়ে জীবন গড়েছিল যারা,
একটুকরো কাদামাটি মেখে তাদের মৃত্যুহীন প্রাণ
তুলে গগন বিদারী শ্লোগান
ওদের দেশ নেই কাল নেই পাত্র নেই
নেই কোন ধর্মের দোহাই
সন্ত্রাসই ওদের ধর্ম  ওরা জঙ্গিবাদী মানুষ মারা শয়তান |
ওদের নষ্ট মন ভেঙে দেয় সখিনার ঘর,
নবজাতকের কেড়ে নেয় জন্মের অধিকার,
পাষণ্ড ওরা, ওদের ফাঁসির দাবিতে রাজপথে এসেছি আজ
যে নারী স্বপ্ন দেখে লজ্জিত হয় নতুন  নগরে,
তাদের ভ্রান্ত করে কেড়ে নেয় সতীত্বের রাজমহল
সন্তান তাদের কাছে হয়ে যায় মরা লাশ;
ধর্ষিত  হয় ওরা জঙ্গিবাদীর রক্ত ঝরানো
নখের আচড়ে |
ওরা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুকে নির্বাসিত করে
দুমড়ে মুচড়ে কেড়ে নিতে চায় স্বাধীনতার চেতনাকে,
জ্ঞান পাপিদের আতসবাজির জলসাঘরে
মৌলবাদীর মরণ  কামড়ে  দংশিত  হয়
পদ্মা মেঘনা যমুনা;
ইজ্জত হারায় নিষ্পাপ প্রাণেরা, যদি একটুকরো কাপড় খুঁজে
আঁকড়ে ধরে বাঁচানো যেত নিজের
লজ্জা কষ্ট আর বিবর্ণ রাত |
আজ বুলেটের আঘাত চলে ধর্মের নামে
পেট্রোল বোমার  পোড়া  মাটি নিয়ে শুকুনীরা
কেড়ে নিতে চায় স্বাধীনতাকে,
মরা লাশের নগ্ন খেলায় মেতে  উঠে
যত বজ্জাত হারামজাদার দল
চড়া দামে বিক্রি হয় তারা অভিশপ্ত করে মাটি
স্বাধীনতা লজ্জিত হয়, অহংকার পথ  হারায় |
টগবগে  রক্ত তবু জেগে আছে আজো
জনতার মঞ্চে আজ উঠেছে   আওয়াজ
ওদের ফাঁসি দিতে হবে, ওদের ফাঁসির দাবিতে এসেছি আজ
কুকুরকে বুকে টেনে বলি তোরাই মানুষ
ওরা মানুষ নয় বিশ্বাস ঘাতক বেজন্মা বিদেশি প্রভুর ক্রীতদাস |
তারপর অপেক্ষা আর অপেক্ষা যদি ফিরে আসে সেইদিন
যেদিন বাঙালির ধমনীতে  বইবে অমর কাব্যের অবিনাশী গান
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম |            
            
519 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এ দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি যেমন অবদান রেখে চলেছেন তেমনি সৃষ্টিশীল লেখার ক্ষেত্রেও তাঁর পদচারণা। তিনি মনে করেন বিজ্ঞান চর্চা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি একে অন্যের পরিপূরক। তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, গবেষক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সমাজ সংস্কারক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনে বিশ্বাসী এই মানুষটির ছোটবেলা থেকেই লেখায় হাতেখড়ি। কৈশোর ও তারুণ্যে তিনি বাংলা একাডেমি, খেলাঘর, কঁচিকাচার মেলা সহ বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করেছেন। এই সময় তাঁর প্রবন্ধ, কবিতা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকৌশল বিদ্যা অধ্যায়নের সময় তিনি প্রগতিশীল কর্মী হিসেবে কাজ করে সহিত চর্চা করে গেছেন। এ সময় তাঁর লেখাগুলো বিশ্ববিদালয়ের ম্যাগাজিনে এখনও সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও অনেকদিন ধরেই তিনি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই সাহিত্যেই তাঁর সমান দক্ষতা রয়েছে। সমাজ, রাষ্ট্র, প্রকৃতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা, পরিবর্তন, সম্ভাবনা ও মানুষ তাঁর লেখার মূল উপজীব্য বিষয়। তিনি একজন ভাল বক্তা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক্ শো সহ বিভিন্ন সৃজনশীল অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি হিসেবে দেখা যায়। ভারতরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অজিত কুমার পাঁজা কলকাতা দূরদর্শনের একটি প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রেরিত প্রবন্ধে মোহিত হয়ে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সে সময় সম্প্রচারিত হয়। এই খবরটি আজকাল, সংবাদ, বাংলাবাজার সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি ফিলিপিন্স, চীন, বি-টিভি সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন পুরুস্কারে ভূষিত হন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের একজন কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করে চলেছেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী এর সর্বশেষ লেখা

একই ধরনের লেখা

1 মন্তব্য