এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
সোমবার, 17 আগষ্ট 2020 12:21

মেয়েদের পদবী নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                মেয়েদের পদবীতে গোলমাল ভারী, 
অনেকের নামে তাই দেখি বাড়াবাড়ি; 
‘আ’কার অন্ত দিয়ে মহিলা করার 
চেষ্টা হাসির। তাই ভূমিকা ছড়ার। 
‘গুপ্ত’ ‘গুপ্তা’ হয় মেয়েদের নামে, 
দেখেছি অনেক চিঠি, পোষ্টকার্ড, খামে। 
সে নিয়মে যদি আজ ‘ঘোষ’ হয় ‘ঘোষা’, 
তা হলে অনেক মেয়ে করবেই গোসা, 
‘পালিত’ ‘পালিতা’ হলে ‘পাল’ হলে ‘পালা’ 
নির্ঘাৎ বাড়বেই মেয়েদের জ্বালা; 
‘মল্লিক’ ‘মল্লিকা’, ‘ দাস’ হলে ‘দাসা’ 
শোনাবে পদবীগুলো অতিশয় খাসা; 
‘কর’ যদি ‘করা’ হয়, ‘ধর’ হয় ‘ধরা’ 
মেয়েরা দেখবে এই পৃথিবীটা- “সরা”। 
‘নাগ’ যদি ‘নাগা’ হয় ‘সেন’ হয় ‘সেনা’ 
বড়ই কঠিন হবে মেয়েদের চেনা।।            
            
468 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
সুকান্ত ভট্টাচার্য

সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৫ই আগস্ট, ১৯২৬ - ১৩ই মে, ১৯৪৭) বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবি। ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট মাতামহের ৪৩, মহিম হালদার স্ট্রীটের বাড়ীতে,কালীঘাট,কলকাতায় তার জন্ম।। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুর জেলার, বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার, উনশিয়া গ্রামে। ১৯৪৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। এ সময় ছাত্র আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ায় তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। সুকান্তের বাল্যবন্ধু ছিলেন কবি অরুনাচল বসু। সুকান্ত সমগ্রতে লেখা সুকান্তের চিঠিগুলির বেশিরভাগই অরুনাচল বসুকে লেখা। অরুনাচল বসুর মাতা কবি সরলা বসু সুকান্তকে পুত্রস্নেহে দেখতেন। সুকান্তের ছেলেবেলায় মাতৃহারা হলেও সরলা বসু তাকে সেই অভাব কিছুটা পুরন করে দিতেন। কবির জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছিল কলকাতার বেলেঘাটার ৩৪ হরমোহন ঘোষ লেনের বাড়ীতে। সেই বাড়িটি এখনো অক্ষত আছে। পাশের বাড়ীটিতে এখনো বসবাস করেন সুকান্তের একমাত্র জীবিত ভাই বিভাস ভট্টাচার্য। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সুকান্তের নিজের ভাতুষ্পুত্র।

সুকান্ত ভট্টাচার্য এর সর্বশেষ লেখা

3 মন্তব্য