সৃষ্টিকর্তা তাঁহার ধারাবাহিক ক্রিয়া সম্পাদনে রাখিয়া ছিলেন মোদের রূহ,রূহের জগতে।আগে কেহ কেউ বা পরে,প্রয়োজনে প্রেরণ করিলেন এই দুনিয়ার জগতে।আগে যাঁহার আগমণ হয় সে বড়/শ্রদ্ধেয়,পরে যার সে ছোট পৃথিবীর বুকে।সেই মহান সৃষ্টিকর্তার কি ধারুণ দান,সমবয়সি বন্ধু হয় অন্তরঙ্গ যেন আপন দেহ,মনও প্রাণ। কখনো আবার এমনো হয়,বড় কিংবা ছোট একে অপরের সাথে বন্ধুর ন্যায় আচার-আচরণ। জীবনে জীবিকার তাগিদে কর্মের তরে যখন ছুটিতাম গ্রামে,সে সময়ে বহুজনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একদা পথ চলিতে দেখা হয় এমনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মৌলভী,যিনি বয়সে আমার চেয়েও দ্বিগুণ ঊর্ধে। চাদর গাঁয়ে তাঁহার,ধুমপানে বসাছিল তাঁহারি বসতির আঙ্গিনার কোণে ক্ষুদ্র বাঁশবনে। এমনি ক্ষণে তাঁহারে জিঙ্গাসিলাম,মৌলভী ভাই বসতি খুঁড়োঘর পরিবর্তন করিবেন কবে!!!? উত্তরে ফতোয়ার ভঙ্গিতে বলিলেন মৌলভী-মোদের শান্তির ধর্মে দালান বাড়ী বানাতে নাই,দেখিলাম কিতাব খুলিয়া মন্জিলের অধ্যায়। আশ্চার্য হয়ে বলিলাম,আসলে কি তাই!!মৌলভী কহে,হ্যাঁ-হ্যাঁ সত্য বাণীই প্রচার করিলাম তোমারি সনে। মৌলভীর বাণী শুনিয়া নিরবে বিন্য সুরে আলাপ শেষে নিজের পথে নিজে চলিলাম। দু`সাল পর দেখিলাম মৌলভীর ঝিকঝাক দালান বাড়ী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার। সুযোগ পেয়ে বলিলাম মৌলভীরে,মৌলভী ভাই দু`সাল পূর্বে আমাকে কহিয়া ছিলেন খড়ের চাউনি,শান্তির ধর্মের মূল রওসনী-এখন কি হল বলেনতো শুনি!!! জবাবে মৌলভী সাহেব মুচকি হাঁসিতে বলিলেন-দালান বাড়ী আমি তৈরি করিতেছি না,করিতেছেন পুত্রগণ তাহাদের লাগি,যুগ পাল্টিয়েছে তো তাই। তখন হতে বুঝিতে পারিলাম এযুগের মানব সমান তিনে তিনে ছয়,গুণ করিলে নয়।