.....সূর্য গবেষকের চোখ গেল।
প্রতিটি মানুষ বেড়ে ওঠার জন্য দরকার একটি সুন্দর পরিবেশ।তবে পল্লী গ্রামেই হল সুন্দর একটি পরিবেশ।সবাই সেষ্টা করে জীবনকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য।পল্লী গ্রামের অনেকেই বড় বড় ডাক্তার আবার কেউ বিজ্ঞানী সহ ইত্যাদি হয়ে ওঠে।
পল্লী গ্রামের এক মাষ্টার পরিবারের সেষ্টা হল তাঁরা বৈজ্ঞানিক হবে,এবং তাঁদের ছেলে মেয়েদেরকেও বৈজ্ঞানিক করে তুলবে।প্রতি রাতে স্বামী আর স্ত্রী চিন্তা করে,তাঁহারা কি নিয়ে গবেষণা করে বৈজ্ঞানিক হবে তা নিয়ে।
ভাবতে ভাবতে এক দিন স্ত্রী বলল,স্বামী গো_আমরা চাঁদ এবং সূর্যকে নিয়ে গবেষণা করব,আর আমাদের সন্তানেরা গবেষণার ফলাফল লিখবে।মাষ্টার সাহেব বলল,ঠিক ঠিক বিবি তুমি ভালই বুদ্ধি দিয়েছ।
হল চাঁদ,সূর্য নিয়ে গবেষণা শুরু।প্রতি দিন সকালে পূর্ব দিক থেকে সূর্য ওঠে আর পশ্চিম দিকে চাঁদ ডুবতে থাকে।এই দৃশ্য টুকু মাষ্টার আর মাষ্টারের স্ত্রী উভয়ে দেখতে থাকে প্রতি দিন।তবে,পল্লী গ্রামের গাছ-পালা বেশি থাকার কারণে তাঁদের গবেষণার মধ্যে সমস্যা হয়,অন্য দিকে আরো বড় সমস্যা হল আশে পাশের লোক জন মাষ্টার পরিবারের অবস্তা দেখলে হাঁসা হাঁসি করে।
এই নিয়ে এক দিন মাষ্টার পরিবার সিদ্ধান্তে বসল।অতপর,তাঁরা সিদ্ধান্তে উপনিত হল,যে সহ-পরিবার শহরের পাঁচ তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকবে।
মাষ্টার নিজে গিয়ে বাসা বাড়ী ঠিক করে আসল.কোন এক দিন মাষ্টার পরিবার শহরে চলে গেল।
এখন আর কোন সমস্যা হচ্ছে না তাঁদের,গবেষণা চলতেছে।এক দিন পাঁচ তলার উপরে ওঠে দূরবীণ(অনুবীক্ষণ)যন্ত্র নিয়ে মাষ্টার এবং মাষ্টারের বেগম সাহেবা চাঁদ,সূর্য গবেষণা করতেছে।মাষ্টারের স্ত্রী বলতেছে,আমি চাঁদে ময়লা দেখতেছি.মনে হয় চাঁদ তেমন ভাল হবে না এবং চাঁদ আসতে আসতে গোপণ হয়ে যাচ্ছে।
সুতরাং,আপনি(মাষ্টারকে)সূর্যকে ভালভাবে পরীক্ষা করুন।
এবার,বেগম সাহেবার কথা শুনে মাষ্টার সাহেব দূরবীণ যন্ত্রের ZOOM আরেকটু বাড়িয়ে দিয়ে সূর্যের প্রতি মনুযোগ দিয়ে থাকাতে লাগল।সূর্যকে দেখতে দেখতে কিছুক্ষণ পরে সূর্যের অতি কীরণ মাষ্টারের চোখে লাগার কারণে মাষ্টারের চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলল।
মাষ্টার এখন চিত্কার করে বলিতে লাগিল,চাঁদের চেয়েও উজ্জল(বেশি আলো)সূর্য।মাষ্টার তাঁহার দু'চোখ হতে দূরবীণ যন্ত্র নামিয়ে নিয়ে আশে পাশের কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।ডাক্টার,বৈদ্ধ,কবিরাজ সহ
অনেক চিকিত্সা করার পরও মাষ্টারের দৃষ্টি শক্তি ফিরে এল না।
(হয়ত,মাষ্টার আর কোন দিন ভাল হবে না।এই দুনিয়ার আলো বাতাস আর কোন দিন উপভোগ করতে পারবে না।)
জামশেদ(বদরী).