বুধবার, 11 এপ্রিল 2018 00:26

আষাঢ়ের সময়

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(2 টি ভোট)
                আষাঢ়ের সময়
            মোঃ মোশাররফ হোসেন

চ্যালা, পুঁটি লাফায় খালে
ব্যাঙে ডাকে ঘ্যা ঘ্যাকুর ঘ্যা।
নতুন জোয়ারের ছোঁয়া পেয়ে
করছে সবাই কলাবলা।

ছোট বড় জোড় মিলিয়ে
ছুঁটছে খাল-বিলের তরে।
কারো কাঁধে চাঁইয়ের বোঁঝা
কারো মাথায় বাঁধা গামছা।

কারো হাতে থালা বাঁটি
কেউবা লয় ড্যাক।
হরেক রকম জালের বাহার
ছিপে বাঁধা বরশি।

বোয়াল,শোল,রুই, কই
থাকবে না কিছু বাকি।
সব ধরিবে ড্যাক ভরিবে
খেলবে মাছের হলি ।

বিকেল হলে গল্প করে
পাশে বসে পান পুড়ে মুখে।
বারান্দার কোনে বসে
দাদা-দিদি ব্যস্ত জাল বুনে।

আকাশ হঠাৎ কালো করে
মেঘ সাঁজায় ভেলা।
একটু একটু জড়ে পরে
আবার ফিরে যাবার তাড়া!

ছেলেগুলো খেলছে মারবেল
ধায়েন দিতেই কুঁড়া কুঁড়া।
বৃষ্টি এলো বৃষ্টি এলো
এই ভয়ে কাম সারা।

মেয়েগুলো বউয়াছি
দু দলে বেঁধে এই খেলা।
ছেলে মেয়ে উভয় মিলে
খেলে ফুঁলের টোকা।

আয় রে আয় আয় আমার
শালিক,টিয়া আয় ছুঁটে ময়না।
একটা দে টোকা তারে
দেখবো নাম কি করে কয়?

বুদ্ধি মন্ত্রর কত কি
খেলতে খেলতে কাটে বেলা।
সন্ধ্যা হলে সবে বাড়ি ফিরে
শান্ত হয়ে যায় তখন পাড়া।।            
            
725 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ বুধবার, 11 এপ্রিল 2018 00:44
শেয়ার করুন
মোঃ মোশাররফ হোসেন

আমার নাম মোঃ মোশাররফ হোসেন।পিতার নাম আঃ মান্নান বেপারী মাতার নাম মজিদা বেগম। ২৫ ডিসেম্বর শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন বি কে নগর কাজী কান্দি মাতুল আলয় জন্ম গ্রহন করি।পৈত্রিক নিবাস একই থানার পূর্ব নাওডোবা মঙ্গল খার কান্দি।ভাইবোনের মধ্যে আমি দ্বিতীয়। এলাকার চরখাগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেনি পাশ করি।পরে পূ্র্ব নাওডোবা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ভর্তি হলেও বি কে নগর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জে এস সি এবং পূ্র্ব নাওডোবা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে এস এস সি পাশ করি।বর্তমান ঢাকায় জিনজিরা পি. এম. পাইলট স্কুল এ্যান্ড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক চূড়ান্ত বর্ষে। পারিবারিক ও অন্যান্য কারনে পড়ালেখা বাঁধা প্রাপ্ত হয়।নিজ চেষ্টায় পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ায় পড়ালেখার গতি ধীরস্থির।এছাড়াও আমার এখন বেশি পড়তে ভাল লাগে না।তবে সাহিত্য: জীবন কাহিনী,গল্প, উপন্যাস, ছোট গল্প, স্মৃতিচারন মুলক ও স্বাবলম্বী ভাষায় লেখা বই পড়তে বেশ ভাল লাগে।আমার স্বপ্ন ছিল অনেক কিন্তু সৃষ্টি প্রদত্ত কিছু গুন ও পারিপার্শ্বিক কারনে সবার সব সম্ভব হয় না।এখন আমার স্বপ্ন সাংবাদিক হবো এবং পাশাপাশি লেখক।ছোটবেলা চাচাতো ভাইয়ের মুখে তার বন্ধুর ডাইরি ভর্তি লেখার গল্প শুনি আর স্বপ্ন দেখি আমিও লিখব।সেই স্বপ্ন থেকেই আমার কলম গতিশীল। তাছাড়া আমার লেখনির পিছনে আরো একজনের কথা না বললেই নয়, সে হলো আমার আপন বন্ধু, বন্ধু সুলভ বোন মোসাঃ রুমা আক্তার।যার উত্সাহ আমার শক্তি হিসেবে কাজ করে। মা-বাবা, বড় ভাইয়ের ভালবাসাই আমার জীবনের সম্পদ।

3 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.