ছোট্ট একখান পাখির বাসা সেখানে দু'খান ছা। ডানার ভিতর আঁকড়ে রাখে দুইটি ছানারে মা। আঁদার খোঁজে পুরুষ পাখি হন্যে সে দিনোমান। বাসায় যে তার ক্ষণ গুণে যায় সহাগ ভরা সন্তান। মগডালেতে সেই বাসাটি বাতাসেতে দোল খায়। সেই দোল যেন ঝড়ের আঘাত হানে সেই পাখিটায়। সন্ধ্যা বেলায় আঁদার মুখে যেই পাখিটি ফিরে। আত্মহারা ছানা দু'টির হরষ উথলে পড়ে। নিত্য দিনের মতোই পাখি এক সে সন্ধ্যা বেলা। ফিরেই দ্যাখে শূন্য বাসা ছানাদের নাই খেলা। ছেঁড়া পালক পড়ে আছে ভাঙ্গা বাসার পরে। আঁতকে উঠে মুখের আঁদার ছিটকে গেলো ঝরে। সঙ্গী যে তার বিলাপ করে চিৎকারেতে কাঁদে। আকাশ বাতাস কাঁপছে যেন মায়ের আর্তনাদে। দুষ্ট বালক খেলার তরে নিয়ে গেছে সেই ছা। কলিজার ধন ছিঁড়ে নেয় ক্যান হায়রে সর্বনাশা? বালক যখন খেলতেছিল লইয়া পাখির ছানা। মাথার উপর আহাজারির শব্দ গেলো শোনা। খেলার সময় সেই ছানারা কষ্টে যায় যে মারা! ক্ষান্ত হলো মরণ খেলা কাঁপল যেন ধরা। মরা ছা'দের আদর করে পাখি দুটি যে তাই। কোন সুদূরে চলে গেছে আর তারা ফিরে নাই। (ছড়াটির পর্ব বিন্যাস ৪+৪+৬ =১৪ মাত্রা)