- পরিষদে লেখকদের লেখা
অবাক পৃথিবী
, কবিতা, লিখেছেনঃ মীর আব্দুল আউয়াল
সানুনয় প্রার্থনা
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
শরৎ যে বয়ে যায়
, কবিতা, লিখেছেনঃ রহিমা আক্তার লিলি
বিবাহ বিভ্রাট
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
কবি। কবিতা
, কবিতা, লিখেছেনঃ নাজমুল কবির
হেমন্ত
, কবিতা, লিখেছেনঃ রহিমা আক্তার লিলি
নিতল হৃদয়ে
, কবিতা, লিখেছেনঃ মীর আব্দুল আউয়াল
হবে মন একাকার
, ছড়া, লিখেছেনঃ বাবুল আহমদ
অন্তরঙ্গতা সন্ধান
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
একাকিনী
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
প্রথম দেখা
, ছড়া, লিখেছেনঃ বাবুল আহমদ
কর্ম জীবন
, ছড়া, লিখেছেনঃ বাবুল আহমদ
গতর খাটা মানুষ
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
সপ্তাহের বাছাইকৃত লেখা সমূহ
অন্তরঙ্গতা সন্ধান
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
একাকিনী
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
কর্ম জীবন
, ছড়া, লিখেছেনঃ বাবুল আহমদ
গতর খাটা মানুষ
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
আলোর মেলা
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
আতিথেয়তা
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
কিছুটা সময়
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
পোষ মানা ক্ষুধা
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
প্রতিশ্রুতি
, কবিতা, লিখেছেনঃ মাহমুদ রেজা
সে এসেছিল
, কবিতা, লিখেছেনঃ মীর আব্দুল আউয়াল

কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম (মে ২৪, ১৮৯৯ – আগস্ট ২৯, ১৯৭৬) অগ্রণী বাঙালি কবি, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, সংগীতস্রষ্টা, দার্শনিক, যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকার সঙ্গে সঙ্গে প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ – দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তাঁর কবিতা ও গানে এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে –- কাজেই "বিদ্রোহী কবি", তাঁর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে উভয় বাংলাতে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকে। নজরুল এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা ছিল ধর্মীয়। স্থানীয় এক মসজিদে সম্মানিত মুয়াযযিন হিসেবে কাজও করেছিলেন। কৈশোরে বিভিন্ন থিয়েটার দলের সাথে কাজ করতে যেয়ে তিনি কবিতা, নাটক এবং সাহিত্য সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এসময় তিনি কলকাতাতেই থাকতেন। এসময় তিনি ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। প্রকাশ করেন বিদ্রোহী এবং ভাঙার গানের মত কবিতা; ধূমকেতুর মত সাময়িকী। জেলে বন্দী হলে পর লিখেন রাজবন্দীর জবানবন্দী, এই সব সাহিত্যকর্মে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ছিল সুস্পষ্ট। ধার্মিক মুসলিম সমাজ এবং অবহেলিত ভারতীয় জনগণের সাথে তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। ধর্মীয় লিঙ্গভেদের বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন। ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি মূলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলা কাব্যে তিনি এক নতুন ধারার জন্ম দেন। এটি হল ইসলামী সঙ্গীত তথা গজল, এর পাশাপাশি তিনি অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামাসংগীত ও হিন্দু ভক্তিগীতিও রচনা করেন। নজরুল প্রায় ৩০০০ গান রচনা এবং অধিকাংশে সুরারোপ করেছেন যেগুলো এখন নজরুল সঙ্গীত বা "নজরুল গীতি" নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়। মধ্যবয়সে তিনি পিক্স ডিজিজে আক্রান্ত হন। এর ফলে আমৃত্যু তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। একই সাথে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকা আসেন। এসময় তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। (উৎসঃ উইকিপিডিয়া)