এক কবির আত্মা কে এম আলাউদ্দীন না কবি হতে চাই না কিছু কিছু শব্দের সব অধিকার কোন এক কবি হরণ করে সবুজের মগ ডালে বাদুর হয়ে লটকে চাঁদের সৌন্দর্যে বিভোর। ফাঁসি শব্দের গলায় চাকু দিয়ে কোরবানী করলো এক কবি, অমনি এক ঝাঁক দাঁড়কাক, নৃতাত্ত্বিকবিদের সকল নৈতিক সেনা ছাউনির চূড়া ঠুকরে ঠুকরে অবশেষে নিজেই লাশ হয়ে গেল। এক কবি হাঁ, নিজেকে কবি বলেই পরিচয় দিয়েছিল, সন্ত্রাস শব্দ বাজারজাত করে প্রচুর মুনাফা লুটে এখন সে নিজস্ব নিয়মে বিশ্ব শাসনের ফর্মুলার উপর গবেষণামূলক পুস্তক ব্যবসায় মননিবেশ করে, তৃপ্তির হাসি হাসছে। আর একজন কবি শান্তি শব্দের জন্য কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে, একটি চমৎকার মাঠে মনোরম পরিবেশ তৈরী করে, একটি বিশাল ফাঁসির মঞ্চে সকল যুদ্ধ বন্দিদেরকে ডেকে, হাসতে হাসতে ফাঁসি দিয়ে বিশাল এক কলমের চূড়ায় অদ্ভুত রঙ্গীন একটি পতাকা উত্তোলন করলেন এবং ঘোষণা করলেন আমি নব নির্বাচিত রাজা আর এটা শান্তির পতাকা। অতঃপর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো অন্ধকারের কারাগার, বিচার শব্দের চৌকাঠ পেড়িয়ে এক কবির আত্মা মুখ থুবড়ে পড়ে গেল, ওখানেই শেষ; কেউ কেউ বল্লো এটা নির্ঘাত আত্ম হত্যা। সভ্যতা শব্দের গোলক ধাঁধায় হাজারো কবি উম্মাদ হয়েও রাজ্য শাসন কিংবা অত্যাধুনিক তথ্য-খেলায় মিথাবাদের ভয়ঙ্কর আয়োজনে নিজেই নিজেকে কৃতদাস বানিয়ে আত্ম বিক্রয়ে তৎপর ----- না, আর কবিতা নয়, শব্দের নগ্নতা কিংবা কবির আর্তনাদ কে কাকে পথ দেখাবে? তবে কি শুন্যতা থেকেই আবার সৃষ্টির উল্লাস ধ্বনি ছড়িয়ে পড়বে! #বরিশাল, ১৪/১১/১৫