কষ্টে ভরা নিদ্রাহীন নিশি রাত জেগে জেগে করি জীবনের অনুবাদ। যতো ভাবে সাজাই জীবনের হিসাব সব খানে খুঁজে পাই অপূর্ণতার ছাপ। তন্ন তন্ন করে খুঁজি জীবনের খতিয়ান কোন খানে লিখা হয়নী নারী, তোমার নাম। ভাবনার শহর জুড়ে শুরু করি তল্লাশি সব খানে দেখি নারী, তোমার স্মৃতি রাশি- রাশি সহসা নিদ্রাহীন চোখে শুরু হয় কষ্টের জলপ্রপাত। মধ্যরাতে অসহায় এক যুবকের কষ্ট দেখে উল্লাসে ফেটে পড়ে দুর্বল অন্ধকার। আগুনের বিরামহীন শিখায় পুড়তে থাকে ভাবনার কবিতা কাঁচা শরীরে লেগে যায় হিরোশিমার যন্ত্রনা, মধ্যরাতে হেসে উঠে সিগারেট, সিডাক্সসিন প্রতিনিয়ত আমাকে দেয় কষ্ট ভুলার সান্নিধ্য। নারী, তোমার পারমানবিক যন্ত্রনার স্ফুটনান্কে শান্ত হৃদয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় সাইবেরিয়ার বর্বরতা অভিমানের মর্টারে ঝাঁঝরা করি অসংখ্য স্বপ্ন শাবক ঘুমন্ত বুকে জেগে উঠে এক রক্তাক্ত বধ্য ভূমি। নারী, তোমার বেহায়া গন্ধে উড়ে আসে সোমালিয়ার ক্ষুধার্ত শকুন তৃপ্তির স্বাদে ভক্ষণ করে নরম শরীর। নারী, বিবস্ত্রা রুপে হাসো ,করো উল্লাস ক্ষীয়মাণ স্বপ্ন শাবকের রক্তাক্ত শরীরে ঢালো অশুদ্ধ বিষ করো লীন। অবশেষে গিলে খাও মধ্য রাতের পূণিমার চাঁদ শুরু করো অন্ধকারে উৎসব চিৎকার স্বার্থের নাঙ্গলে তুলে ফেলো বন্ধুত্বের প্রোথিত শেকড় সাথে মন-মাটি। ভুলে যাও জাতীয় শব্দ ভালোবাসি। অবশেষে ছলনার কারুকাজে সাজিয়ে দাও দোজখের শেষ সীমা রেখা আমি সহজ ভালোবাসার সূত্রে ওখানেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকি আর দোজখের দহনে হয় নিঃশ্বেষ। আর নারী, বিশ্বাসের দেয়াল ভেঁঙ্গে ভালোবাসার বৃন্দাবন তছনছ করে এক সুন্দর স্বপ্নের সমাধি ক্ষেত্র রচনা করে মধ্য রাতে ঘুমিয়ে থাকো চেনা সুখে অন্য কারো ছোট্ট বুকের ঘর্মাক্ত জমিনে।