স্মৃতি তুমি একদিন এসেছিলে যৌবন বসন্তে, উল্টা পাল্টা করে নিয়মের হিসাব এক ভাবনার কবিতা হয়ে। আমি নবান্ন বাতাসের অনুভবে ভালবাসার শিকল টেনে, হিসাবে আনতে চাইলাম পূর্ণতা তুমি দূর থেকে শাই দিলে শুরু হলো নির্ঘুম রাত্রির বুকে মাথা রাখার কাব্যিকতা, অহেতুক সুখ ভূমিকায় নিরেট সময়ের সাথে ছলনার ছক ছবি আঁকা। তুমি তখন সাজানো কারুকাজে প্রণয়ের পারফিউম ঢেলে, রং বে রংয়ের স্বপ্ন বুনন করে নকল অভিনয়ের পরিপূর্ণতা এটে অনায়াসে দখল করলে হৃদয়ের মানচিত্রটা। তারপর সময়ের প্রয়োজনে স্বার্থের দরজা খুলে, ভালবাসা নামক শব্দটাকে মুছে আমার পৃথিবীর সুখ দেয়ালে অন্ধকার হুড়কা এটে, মিশে গেলে অন্য জ্যোৎস্নায়। কিন্তু আমিতো প্রত্যাশিত মনে ভালবাসার পরিপূর্ণ সূত্রে, একটা বাস্তব অধ্যায় রচনা করে থাকতে চেয়েছিলাম একই রথে। আজ জীবন ক্যাম্পাসে ভালবাসার পতঙ্গরা বড়ই ক্লান্ত, চারি পাশের স্বার্থের দুর্ঘন্ধে জীবনের সরস নিশ্বাস বন্ধ প্রায়। এখন নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে দুচোখের সীমানা জুড়ে গড়ে তুলি সর্তক প্রাচীর। বিকলাঙ্গ ভালবাসার স্বার্থপর বৃক্ষটি উপড়ে ফেলে আবার রোপন করি নামহীন গন্ধহীন অচেনা এক বৃক্ষ।