বৃহষ্পতিবার, 28 সেপ্টেম্বর 2017 19:58

হে নেত্রী, আপনি আর কাঁদবেন না

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                হে নেত্রী, আপনি আর কাঁদবেন না
©.......সহিদুল 
(মনবতার জননী শ্রদ্ধাভাজন প্রিয় নেত্রীর জন্মদিনে নেত্রীকে উৎসর্গীকৃত)

১৯৭৫ সালের কোন একদিন, 
জার্মানির এক বিমান বন্দরে 
কাস্টমস কর্মকরতার বিমর্ষ চাহনি,
বঙ্গকন্যার বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেখে 
কাস্টমস কর্মকরতা ঘৃণা ভরে বলেছিল, 
"এতো বড় এক বেইমান জাতি তোমরা!  
যে মুজিব দিলো তোমাদের স্বাধীনতা, 
আর সেই মুজিবের রক্তেই রঞ্জিত হয়েছে তোমাদের হাত?" 

বঙ্গকন্যা সেদিন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি, 
নেত্রী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন, 
প্রিয় নেত্রীর কান্নায়, 
খোদার আরশ পর্যন্ত সেদিন, কেঁপে উঠেছিল, 
পুরো জার্মান বিমানবন্দরটিই যেন 
হয়ে উঠেছিল শোকে বিহ্বল এক খন্ড পাথর।

মা হারিয়েছেন, বাবা হারিয়েছেন, 
ভাই হারিয়েছেন,
এ যে কত নির্মম, কত কষ্টের!
কত অনুতাপের, কতটা বিষাদের!
তা একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ উপলদ্ধি করতে পারবে না। 

হে প্রিয় নেত্রী, 
আপনি কতটা ধৈর্যবতী!
তারপরও মাঝে মাঝে, 
আপনার চোখে জল দেখা যায়,
তাই বলবো,
হে নেত্রী, 
আপনি আর কাঁদবেন না।
আপনার চোখের পানি আমরা সহ্য করতে পারিনা।

আপনি আমাদের শেষ আশা, 
আপনি আমাদের প্রত্যাশা,
আপনি আমাদের ভরসা, 
আপনি আমাদের আস্থা,
আপনি আমাদের প্রেরণা,
আপনি আমাদের স্পন্দন।

আপনি স্বজন হারিয়েছেন,
আজ ১৭কোটি জনতা আপনার স্বজন,
আমরা ১৭কোটি জনতা
আপনার চোখের পানি মুছে দিব,
১৭কোটি জনতা আপনাকে হাসুবু বলে জড়িয়ে ধরবে।

হে মানবতার জননী,
আপনার মায়াময় সুশীতল স্নেহের ছায়াতলে
আমরা শান্তিতে ঘুমাচ্ছি,
কোথায় পাব এমন শান্তির দূতিকা?
আপনি আছেন বলেই আজ 
লক্ষ লক্ষ নীড় হারা পাখির মত
অসহায় মানুষেরা জীবন বাঁচাতে পেরেছে।
আপনি আছেন বলেই 
শয়তানের দলেরা ভয় পায়।
আপনি ছাড়া শান্তি অরক্ষিত হয়ে যায়।

হে শান্তি মাতা,
পার্বত্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা 
আপনার দ্বারাই সম্ভব হয়েছিল।
আজ শুধু পার্বত্যে নয়,
সারা বিশ্বেই আপনার শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে।
যখন পার্বত্যচট্টগ্রামে শান্তির চুক্তি করেছিলেন,
তখনই আমার মন্তব্য ছিল,
নোবেল পুরষ্কার আপনার হাতেই মানায়,
কিন্তু তা হয়নি।
এরপর সমুদ্র জয়, ছিটমহল বিনিময় সহ
বহু শান্তির ইতিহাস গড়েছেন।

এখন আমরা চাই আপনার শান্তিময় দ্যুতি
ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বব্যাপী,
আপনার দৃঢ় ভূমিকায়,
আপনায় মায়াময়তার উসিলায়,
রোহিঙ্গারা ফিরে পাক তাদের আবাসভূমি,
আপনার উসিলায় আরাকান হোক স্বাধীন,
শান্তির পতাকা উড়ুক স্বাধীন কারাকানে।
হাসি ফুটুক শান্তিকামীদের মনে।
শয়তানের বাচ্চা,
মানবতার দুশমন,
অশান্তির বাহকেরা নিপাত যাক।

আজকে অশান্তির বাহকেরা 
আপনাকে নোবেল দিতে চায়।
আমরা চাই না এ নোবেল।
অশান্তির ধারকদের যদি শান্তির নোবেল দেয়া হয়,
তবে মানবতার জননী হয়ে
কিভাবে আপনার হাতে শোভা পাবে
ঐ অশান্তির নোবেল?

আল্লাহর দোহাই লাগে,
প্রিয় নেত্রী, আপনি আর কাঁদবেন না, 
আমরা চাই আপনি আরো বজ্রের মত কঠিন হোন,
আপনার হাতেই মানার বংলার বৈঠা,
আপনিই পারেন,
রাজাকার আলবদর দুর্নীতিবাজদের বিচার পূর্ণ করতে,
আপনার দীপ্তিময় আভার নিকট ম্লান সারাবিশ্ব,  
আপনার নীতির কাছে মলিন বিশ্বের আপোষকারী নেত্রীবৃন্দ! 

হে নেত্রী,
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলাকে 
বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আপনার কোন বিকল্প নেই,
সোনার বাংলার বৈঠা আপনার হাতেই অটুট থাকুক, 
তাই আমাদের নিত্য দিনের শপথ হোক,

আপনার হাতে সোনার বৈঠা চলছে নৌকা অনুক্ষণ,
অবাক হয়ে দেখছে বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন। 

মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম            
            
528 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম

মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম, পিতাঃ ডাঃ মোঃ সফি উদ্দিন, ১৯৭৭ সালের ১লা জানুয়ারী, আমার জন্ম-ঢাকা জেলার ধামরাই থানার বেলীশ্বর গ্রামে নানা আলী আজগর মুন্সির বাড়ীতে । পৈত্রিক নিবাস, ঢাকা জেলার ধামরাই থানার অর্জ্জুন-নালাই গ্রামে, কিন্তু বাবার চাকরী জনিত কারনে আমি ছোটবেলা থেকেই মানিকগঞ্জ জেলার, সাটুরিয়া থানার বরুন্ডী গ্রামে বড় হই। বর্তমানে এই গ্রামেই আমি স্থায়ী ভাবে বসবাস করছি। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে আমি বাবা-মার প্রথম সন্তান। আমার লেখাপড়া শুরু হয় উমানন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবং এই বিদ্যালয় থেকে ৪র্থ শ্রেণী ও বরুন্ডী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করি, পরে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত ধানকোড়া গিরীশ ইনস্টিটিউশন (হাই স্কুল) হতে ১৯৯২ সালে সাফল্যের সহিত এস,এস,সি পরীক্ষা পাশ করি । সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ হতে ১৯৯৪ সালে আই,কম, ১৯৯৬ সালে বি,কম এবং একই কলেজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়_বাংলাদেশের অধীনে ১৯৯৮ সালে ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর এম,কম সমাপ্ত করি। এম,কম শেষ পর্বের পরীক্ষা শেষ করার আগেই আমি ১৯৯৮ সালে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি এবং চাকুরীরত অবস্থায় এম,কম সমাপনী পর্ব সাফল্যের সাথে সমাপ্ত করি। ২০০৮ সাল পর্যন্ত আমি বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করি।২০০৯ সাল হতে আগস্ট/২০১৪ সাল পর্যন্ত জুরং শিপইয়ার্ড_ সিঙ্গাপুরে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে এবং সেপ্টেম্বর/২০১৪ হতে অদ্যাবধি প্রজেক্ট সুপারভাইজার হিসেবে _ স্যাম্বক্রপ মেরিন_সিঙ্গাপুরে কাজ করছি। আমি ছোটবেলা থেকে লেখালেখি করি । মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের আবহমান বাংলা ম্যাগাজিনে প্রথম লেখা শুরু। আমি গল্প,কবিতা, প্রবন্ধ ( রাজনৈতিক এবং সমসাময়িক) এবং উপন্যাস লেখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আধুনিক বা সাম্প্রতিক পটভূমিকা নিয়ে লেখাই হল আমার অভিগমন। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা আমার মনকে সর্বাধিক ক্ষতবিক্ষত করে। আমার প্রথম প্রকাশিত বইয়ের নাম “আবীর”। যৌথভাবে আমার প্রকাশিত বই ১০০ কবির প্রেমের কবিতা ২য় এবং ৩য় খণ্ড । “চির সাথী শুচিতা”আমার একক ভাবে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। আমি দেশ এবং বিদেশের বেশ কিছু অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় নিয়মিত গল্প, কবিতা এবং উপন্যাস লিখছি_ এর মধ্যে রয়েছে _ বাংলারকন্ঠ (সিঙ্গাপুর), দৈনিক সিলেটের আলাপ, আমাদের কিশোরগঞ্জ, বাংলারকন্ঠ(অস্টেলিয়া),সাভার নিউজ ২৪ ডট কম, সংবাদ ২৪ ডট নেট, প্রিয় ডট কম, রাঙ্গুনিয়া ২৪ ডট কম, এবি নিউজ২৪, বিবেকবার্তা ডট কম, বাংলা কবিতা ডট কম, বিডি নিউজ ২৪ ডট কম, গল্প কবিতা ডট কম ইত্যাদি। মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম sahidul_77@yahoo.com

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.