আমার মৃত্যুর পর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী আকাশে বৃষ্টি ঝরেছিল প্রজাপ্রতিরা ডানা মেলে উড়েছিল নীল দিগন্ত ছেড়ে কোনো এক অসীমের সন্ধানে | তারপর আমার জন্ম হলো দ্বিতীয়বার সেদিন আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা কি এক অদ্ভুত কালো অন্ধকার কেঁড়ে নিতে এসেছিলো আমার পূর্বপুরুষের অধিকার | আমি রুখে দাঁড়ালাম প্রতিবাদী কণ্ঠ আমার বলছিলো বার বার রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই বাংলা আমার অহংকার আমার মায়ের মায়াভরা চোখে দেখেছিলাম আমার মাতৃভূমির স্বাধিকার | ওরা বুলেট ছুঁড়লো আর বেয়োনেটের আঘাতে আমার কংকালটা বের করে আনলো খোলা রাজপথে আবার আমার মৃত্যু হলো তবে পারলোনা কেঁড়ে নিতে আমার মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার | আমার জন্ম হলো তৃতীয়বার ওরা কেঁড়ে নিতে চাইলো আমার মাটির অধিকার আমি রাইফেলটা কাঁধে রেখে মাকে বললাম মা ওগো মা আমায় যেতে হবে বহুদূর হয়তো না ফেরার দেশে কোনো এক অদেখা অচিনপুর মাগো তোমার চোখের জল আটকে গেলো বোবা কান্নার নিস্তব্ধতায় কোনো এক না বলা কথায় তুমি কষ্টে হেসে বললে আমার রক্তের কসম ফিরবিনা ঘরে কভু না নিয়ে বাংলার স্বাধীনতা আর বাঙালির বিজয়গাথা উন্মুক্ত আলোয় সোনার বাংলার স্বপ্ন, সম্ভাবনা আর দুরন্ত দিনের অবারিত আসা আর দেশপ্রেমিকের নির্ভেজাল ভালোবাসা | আবার আমার মৃত্যু হলো তারপর ভুমিষ্ঠ হলো এক শিশু নিভৃত রাতে তারাদের ভিড়ে জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ড বিস্ফোরিত করে বাংলার ঘরে ঘরে তারপর শুরু হলো আবার অন্তহীন যাত্রা মানবজবিনের এক শীতল পাটির পরতে পরতে এক মোহলৌকিক জলপ্রপাতে একদল তরুনের বিশ্ব করে বাজিমাত |
আমার মৃত্যুর পর নির্বাচিত
লিখেছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরীঅধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এ দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি যেমন অবদান রেখে চলেছেন তেমনি সৃষ্টিশীল লেখার ক্ষেত্রেও তাঁর পদচারণা। তিনি মনে করেন বিজ্ঞান চর্চা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি একে অন্যের পরিপূরক। তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, গবেষক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সমাজ সংস্কারক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনে বিশ্বাসী এই মানুষটির ছোটবেলা থেকেই লেখায় হাতেখড়ি। কৈশোর ও তারুণ্যে তিনি বাংলা একাডেমি, খেলাঘর, কঁচিকাচার মেলা সহ বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করেছেন। এই সময় তাঁর প্রবন্ধ, কবিতা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকৌশল বিদ্যা অধ্যায়নের সময় তিনি প্রগতিশীল কর্মী হিসেবে কাজ করে সহিত চর্চা করে গেছেন। এ সময় তাঁর লেখাগুলো বিশ্ববিদালয়ের ম্যাগাজিনে এখনও সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও অনেকদিন ধরেই তিনি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই সাহিত্যেই তাঁর সমান দক্ষতা রয়েছে। সমাজ, রাষ্ট্র, প্রকৃতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা, পরিবর্তন, সম্ভাবনা ও মানুষ তাঁর লেখার মূল উপজীব্য বিষয়। তিনি একজন ভাল বক্তা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক্ শো সহ বিভিন্ন সৃজনশীল অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি হিসেবে দেখা যায়। ভারতরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অজিত কুমার পাঁজা কলকাতা দূরদর্শনের একটি প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রেরিত প্রবন্ধে মোহিত হয়ে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সে সময় সম্প্রচারিত হয়। এই খবরটি আজকাল, সংবাদ, বাংলাবাজার সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি ফিলিপিন্স, চীন, বি-টিভি সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন পুরুস্কারে ভূষিত হন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের একজন কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করে চলেছেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী এর সর্বশেষ লেখা
1 মন্তব্য
- মন্তব্যের লিঙ্ক বৃহষ্পতিবার, 13 জুলাই 2023 19:49 লিখেছেন RasrXDh
The results observed here for the О± selective PI3K inhibitor alpelisib demonstrate a manageable safety profile, which is consistent with the safety profile in the phase III SOLAR 1 study 31 how to get rid of viagra headache
মন্তব্য করুন
Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.