এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
সোমবার, 17 আগষ্ট 2020 12:16

এই নবান্নে নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                এই হেমন্তে কাটা হবে ধান, 
আবার শূন্য গোলায় ডাকবে ফসলের বান- 
পৌষপার্বণে প্রাণ-কোলাহলে ভরবে গ্রামের নীরব শ্মশান। 
তবুও এ হাতে কাস্তে তুলতে কান্না ঘনায়ঃ 
হালকা হাওয়ায় বিগত স্মৃতিকে ভুলে থাকা দায়; 
গত হেমন্তে মরে গেছে ভাই, ছেড়ে গেছে বোন, 
পথে-প্রান্তরে খামারে মরেছে যত পরিজন; 
নিজের হাতের জমি ধান-বোনা, 
বৃথাই ধুলোতে ছড়িয়েছে সোনা, 
কারোরই ঘরেতে ধান তোলবার আসেনি শুভক্ষণ- 
তোমার আমার ক্ষেত ফসলের অতি ঘনিষ্ঠ জন।  
 
এবার নতুন জোরালো বাতাসে 
জয়যাত্রার ধ্বনি ভেসে আসে, 
পিছে মৃত্যুর ক্ষতির নির্বাচন- 
এই হেমন্তে ফসলেরা বলেঃ কোথায় আপন জন? 
তারা কি কেবল লুকোনো থাকবে, 
অক্ষমতার গ্লানিকে ঢাকবে, 
প্রাণের বদলে যারা প্রতিবাদ করছে উচ্চারণ 
এই নবান্নে প্রতারিতদের হবে না নিমন্ত্রণ?            
            
418 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
সুকান্ত ভট্টাচার্য

সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৫ই আগস্ট, ১৯২৬ - ১৩ই মে, ১৯৪৭) বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবি। ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট মাতামহের ৪৩, মহিম হালদার স্ট্রীটের বাড়ীতে,কালীঘাট,কলকাতায় তার জন্ম।। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুর জেলার, বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার, উনশিয়া গ্রামে। ১৯৪৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। এ সময় ছাত্র আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ায় তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। সুকান্তের বাল্যবন্ধু ছিলেন কবি অরুনাচল বসু। সুকান্ত সমগ্রতে লেখা সুকান্তের চিঠিগুলির বেশিরভাগই অরুনাচল বসুকে লেখা। অরুনাচল বসুর মাতা কবি সরলা বসু সুকান্তকে পুত্রস্নেহে দেখতেন। সুকান্তের ছেলেবেলায় মাতৃহারা হলেও সরলা বসু তাকে সেই অভাব কিছুটা পুরন করে দিতেন। কবির জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছিল কলকাতার বেলেঘাটার ৩৪ হরমোহন ঘোষ লেনের বাড়ীতে। সেই বাড়িটি এখনো অক্ষত আছে। পাশের বাড়ীটিতে এখনো বসবাস করেন সুকান্তের একমাত্র জীবিত ভাই বিভাস ভট্টাচার্য। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সুকান্তের নিজের ভাতুষ্পুত্র।

সুকান্ত ভট্টাচার্য এর সর্বশেষ লেখা

1 মন্তব্য