কবিতার বুকে পাথর চাপিয়ে এঁকেছ সহজ সমীকরণ, কবিতারা কেঁদে বেড়ায় পাহাড়ে খুলে ফেলে বুকের আস্তরণ। কবিতাকে মুড়িয়েছো শাদা কাপড়ে কিভাবে করবে অবগাহন? চৈত্রের কড়া রোদে পাহারা দিয়ে জানাই তাদের সাদর সম্ভাষণ। পাহাড় থেকেও বেরিয়ে আসে কিছু কাল কেউটের দল, পদাঘাতে কুর্নিশ করি তাদের এসো না, করো না জবরদখল। কবিতাকে বাঁচতে দাও! এদেরও আছে প্রাণ... যুগে যুগে তারা কথা বলে রেখেছে সম্ভ্রম সম্মান। শক্ত হাতে ধরো মসি উন্নত করো শির! দীপ্ত পদে এগিয়ে যাও ধরিত্রীর হে মহাবীর। ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাত নেই... নেই জনারণ্য কোলাহল, সকল সম্পর্কই ছিন্ন হচ্ছে চারিদিকে দেখো দাবানল! ওরাও ঝাণ্ডা... কবিতা বিদ্রোহীদের মারো ডাণ্ডা মদের নেশায় বুদ হয়ে মাতম দেখতে চাই না এদের নির্মূলে করো খতম। তোমরাই তোমাদের ঘরকে হরহামেশাই করেছো কলুষিত দোষ দেবো কাদের নব উদ্যমে উল্লসিত। নিজের অন্যায়ের দায়ভার চাপাও অন্যের কাঁধে মানুষ বলি কিভাবে তোমাদের বলিই বা কোন্ সাধে? কবিতার দহন কবিতাই বোঝে পাই না কবিতায় মিল! কবিতার দহন কবি বোঝে না ভালো চাওয়াও মুসকিল।