কপাটহীন একটা অস্থির ঘরে তার সঙ্গে দেখা । লোহার তৈরি ছোট্ট একটা ঘর । বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কোন যোগ নেই । ঘরটা শুধু উঠছে আর নামছে । নামছে আর উঠছে । মানুষ ক্লান্ত হয় – এ ঘরের কোন ক্লান্তি নেই। এ রকম একটা ঘরেই বোধহয় বেহুলার বাসর হয়েছিল । নিশ্ছিদ্র লোহার একটা ঘর । কোন সাপ সেখানে ঢুকতে পারবে না । হিস হিস করে বলতে পারবে না, পাপ করো। পৃথিবীর সব আনন্দ পাপে । পুণ্য আনন্দহীন । উল্লাসহীন । পুণ্য করবে আকাশের ফিরিশতারা । কারণ পুণ্য করার জন্যেই তাদের তৈরি করা হয়েছে । লোহার সেই ঘরে ঢোকার জন্য সাপটা পথ খুঁজছিলো । সেই ফাঁকে বেহুলা তাঁর স্বামীকে বললেন, কি হয়েছে, তুমি ঘামছ কেন ? আর তখন একটা সুতা সাপ ঢুকে গেলো। ফিসফিস করে কোন একটা পরামর্শ দিতে গেলো । বেহুলা সেই পরামর্শ শুনলেন না বলেই কি লখিন্দরকে মরতে হল ? তার সঙ্গে আমার দেখা কপাটহীন একটা অস্থির ঘরে । ঘরটা শুধু ওঠে আর নামে । আমি তাকে বলতে গেলাম - আচ্ছা শুনুন, আপনার কি মনে হচ্ছে না এই ঘরটা আসলে আমাদের বাসর ঘর ? আপনি আর কেউ নন, আপনি বেহুলা । যেই আপনি ভালবেসে আমাকে কিছু বলতে যাবেন ওম্নি একটা সুতা সাপ এসে আমাকে কামড়ে দেবে । আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন । দয়া করে কিছু বলবেন না ।