স্নিগ্ধ প্রভাতের আলো
গড়াগড়ি খায় নির্মলের বারান্দায়,
তবুও আলোর ঝলক
বড়ই বেমানান সেখানে।
তার বারান্দায় বেদনার ছড়াছড়ি
কষ্টের নুড়িপাথর বিছানো উঠানে।
মনে আছে সেই দুঃখিনী মেয়ে
যার এবেলা ওবেলা কাটতো
দিগন্তজোড়া সেই
দূর পাহাড়ের মাঠে,
সেই সুচিত্রা বেলা না পুরিতে অবেলা
নির্জন দুপুরে নর পশুর হিংস্র থাবায়
কলঙ্কীত দেহ যেন তার এলো চলে
জীবনের শেষ এই ঘাটে।
কৈশরী মন তার বলে
হে সুচিত্রা,
তুমি অবাঞ্ছিত খড় এ জনসমুদ্রে
বড়ই নিষ্প্রয়োজন হেথায়,
তাইতো পাপিষ্ট পৃথিবীর সাথে
সব বাঁধন ছিন্ন করে
যেতে হবে তোমায় আজ সেচ্ছায়।
বাড়ির পিছনের সেই গাব গাছের ডালে
যেখানে শৈশবের স্মৃতি
দোল খায় দোলনায়,
সেই ডালে ওড়না পেচিয়ে
চলে গেল সে না ফেরার দেশে
কুলশিত সমাজ ভাসিয়ে কান্নায়।
সে ডালে আজ দোলনা নেই
হেসে হেসে হয় না সে কুটি
গায়না গান মন তার আবেশে,
সেখানে আজ কোকিল গায়নি গান
দোয়েল ওঠেনি নেচে
শিমুল ফোটে নি শাখে
উত্তাল করে নি প্রকৃতি
তার নৈমত্তিক শীশে,
সেখানে শুঁধু শত লোকের ভীড়
ফিসফাস গুঞ্জরন আর
সুচিত্রার সর্বস্ব হারা উস্ক কেশ
নিথর দেহ দোলে যেন বাতাসে।