~~আদালত~~ ভরা আদালত, কবি-মোয়াক্কেলঃ কটাক্ষ করে কবিতা লিখেছে বসেছে আদালত- বিভিন্ন উকিল বিভিন্ন ধাঁচে দিচ্ছেন মতামত। কবি তার কবিতায় যা লিখেছে সকল কথাই সত্য- পেশকার উকিল সবাই খুঁজছেন পান কি না কোন তথ্য। মহামান্য হাকিম-দেখি ফাইলখানিঃ কবির বিরুদ্ধে কবিতার জন্য কে করেছে মামলা উনি স্যার পুরোনো খাদ্যমন্ত্রী আগে ছিলেন আমলা। ফাইলপত্র যাচাই করে যা দেখছি মন্ত্রীর দোষই বেশি। বড্ড গরম ঘাম ঝরছে কোথায় চাপরাশি? উকিল-স্যার কবি ভাল লোকঃ আমাদের কথা উনার কবিতায় কিছুই লিখেন নাই- তাড়াতাড়ি বেকসুর খালাস দেন না হলে উপায় নাই। কবি-আমার কিছু বলার আছেঃ সমাজের জ্ঞানী ডাক্তার শিক্ষক এদের কথা বলি- ডাক্তার বাবু চেম্বার খুলেে দুটায় যান চলি। শিক্ষক মহাশয় শ্রদ্বেয় অতিশয় খুলেছেন টিউশনি- ভাল মত ক্লাশ করান না শুধু কামায় মালপানি। উকিল বাবু ভীষণ কাবু দেখান মহত্ব পঞ্চাশ টাকায় স্ট্যাম্প কিনে বলেন দুশ টাকা সত্য। উকিল-হাকিম সাহেব বিজ্ঞ আদালতঃ সকলের কথা যে হারে বলিছে সামনে বিপদ ভারী- মোয়াক্কেলকে বেকসুর খালাস দেন ছেড়ে দেন তাড়াতাড়ি। একটু খানি দেরী হলে আপনাকে আনবে টেনে- আমরা সবকিছু হারাবো স্যার যদি সবাই জানে। হাকিম-এজলাশেঃ মাথায় কলম ঠুকিয়া বলিল আচ্ছা করব মাপ- তবে কবিকে ভর আদালতে যদি করে অনুতাপ। কবি-মোয়াক্কেলঃ অনুতাপের কথা কেন উঠিবে করেছি কোন পাপ গায়ের জোরে ভর আদালতে দিলাম অভিশাপ। নুন আনতে পান্তা ফুরায় কবি পায় না ভাত অর্থের চূড়ায় পাহাড়ে বসে দেখায় সে হাভাত। হাকিম-এজলাশেঃ উকিল তোমার মোয়াক্কেল নিয়ে যাও তাড়াতাড়ি- বেকসুর খালাস দিলাম তাকে ছেড়ে দাও তড়িঘড়ি। []_____π[]π____π[]π____[] (নির্ঝর ভালোবাসা-৪০)