বুকের ভেতর খচখচ করে উঠলো একটা কষ্টের কাঁটা, বয়ে গেল তীব্র দগ্ধো হাওয়া, চারিদিক নির্ঘুম কালো অন্ধকার হিমেল কুয়াশা আচ্ছন্নতায় বিদঘুটে কিযে বাওয়া। আমি খোলা জানালার সামনে দাঁড়িয়ে দু'হাতে উড়িয়ে দিই সুখের সব ভালবাসা, হৃদয় ছেঁড়া কলিজায় নৃত্য রত মিথ্যাচারিণী, কঙ্কাল গণতন্ত্রের বাঁধিয়েছে সে বাসা, খুলে দিয়েছি দেবীর চরণতলে মায়া করে নির্লোভ বিশ্বাসের পাঁজরের সব কাছা, খোলা জানালায় আকাশ আঁকি নীরব নিঝুম নিবিড় অধাঁরে যে নিয়ম আমার বাঁচা। দগদগে যন্ত্রণায় এক শিশির ঝরা খোলা আকাশেতেই আমি করছিলাম তারার চাষ, কৃষ্ণ কালের সমুদ্র নয়নের অথৈয়ে উড়ে যাওয়া সবুজ সমারোহ করেছিল কারাবাস। আমি আর ভালবাসি না কামনার রং সিসিতে তুলে নেই জড়তাগ্রস্ত পৃথিবীর নীল নির্জাস, অট্ট হাসিতে ধেয়ে আসে অমাবস্যা কালি সন্ধ্যা দরদ মেশানো মৃতদেহ হারায় কি বিশ্বাস! ঘৃণারা প্রেমে মাতোয়ারা, রজনী কাটে উর্বশীরা নিবিড়ে নিশি সাজায় বিষাদময়ী কামনায়, খোলা জানালায় চাওয়া গুলোকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেই, রাত মাখি নিজের ইচ্ছে ভাবনায়।