এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
রবিবার, 30 আগষ্ট 2020 17:56

কর্তব্যের অন্তরায় নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                কে তুমি দাঁড়ায়ে কর্তব্যের পথে,
সময় হরিছ মোর ;
কে তুমি আমার জীবন ঘিরিয়া
জড়ালে স্নেহের ডোর,
চির-নিদ্রাহীন নয়নে আমার
আনিছ ঘুমের ঘোর?
দু’নয়ন হ’তে দূরস্থ আলোকে
কেন কর অন্তরাল?
কেমনে লভিব লক্ষ্য জীবনের
পথে কাটাইলে কাল?
আমার রয়েছে কঠোর সাধনা,
ফেলনা মায়ার জাল।
তোমারে দেখিলে গত অনাগত
যাই একেবারে ভুলে
মুগ্ধ হিয়া মম চাহে লুটাইতে
তোমার চরণমূলে,
ফেলে যাও তারে, দলে যাও তারে,
নিওনা, নিওনা তু’লে।
তোমার মমতা অকল্যাণময়ী,
তোমার প্রণয় ক্রূর,
যদি লয়ে যায় ভুলাইয়া পথ,
লয়ে যাবে কত দূর?
এই স্বপ্নাবেশ রহিবার নয়,
চলে যাও হে নিষ্ঠুর            
            
490 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
কামিনী রায়

কামিনী রায় (জন্মঃ অক্টোবর ১২, ১৮৬৪ - মৃত্যুঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ১৯৩৩) একজন প্রথিতযশা বাঙালি কবি, সমাজকর্মী এবং নারীবাদী লেখিকা। তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রীধারী ব্যক্তিত্ব। তিনি একসময় "জনৈক বঙ্গমহিলা" ছদ্মনামে লিখতেন। কামিনী রায়ের জন্ম পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের) বাকেরগঞ্জের বাসণ্ডা গ্রামে (বর্তমানে যা বরিশাল জেলার অংশ)। তার পিতা চণ্ডীচরণ সেন একজন ব্রাহ্মধর্মাবলম্বী, বিচারক ও ঐতিহাসিক লেখক ছিলেন। ১৮৭০ খ্রীস্টাব্দে চণ্ডীচরণ ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা লাভ করেন। শৈশবে তার পিতামহ তাকে কবিতা ও স্তোত্র আবৃত্তি করতে শেখাতেন। এভাবেই খুব কম বয়স থেকেই কামিনী রায় সাহিত্য রচনা করেন ও কবিত্ব-শক্তির স্ফূরণ ঘটান। তার জননীও তাকে গোপনে বর্ণমালা শিক্ষা দিতেন। কারণ তখনকার যুগে হিন্দু পুরমহিলাগণের লেখাপড়া শিক্ষা করাকে একান্তই নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে তিনি কবিতা লিখতেন। রচিত কবিতাগুলোতে জীবনের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনার সহজ-সরল ও সাবলীল প্রকাশ ঘটেছে। পনেরো বছর বয়সে তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ আলো ও ছায়া প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ খ্রীস্টাব্দে। এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছিলেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রথমে এতে গ্রন্থকর্ত্রী হিসেবে কামিনী রায়ের নাম প্রকাশিত হয় নাই। গ্রন্থটি প্রকাশিত হলে তার কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।

কামিনী রায় এর সর্বশেষ লেখা

1 মন্তব্য