এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
রবিবার, 30 আগষ্ট 2020 17:57

মুগ্ধ প্রণয় নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                সে কি কথা—যারে চেয়েছিলে
পাও নাই সন্ধান তাহার?
কারে বলে’ কার গলে দিলে
প্রণয়ের পারিজাত হার?
মুগ্ধ নর ; আঁখি ছলে মন ;
কল্পনা সে বাস্তবের ছায় ;
চারু মূর্তি করিয়া গঠন,
শিল্পী ভাল বেসেছিলে তায়।
স্বরচিত প্রতিমার তরে
উন্মত্ত হইল যবে প্রাণ,
দেবতারে কহিল কাতরে—
পাষাণে জীবন কর দান।
প্রেমময় বিধাতার বরে
সে বাসনা পূর্ণ হ’ল তার—
অনুভূতি কঠোর প্রস্তরে,
প্রতিমায় জীবন সঞ্চার।
পাষাণের প্রতিমাটি যবে
প্রাণময়ী নারীরূপ ধরে,
নারী তবে পাবে না কি তবে
দেবী হ’তে বিধাতার বরে?            
            
669 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
কামিনী রায়

কামিনী রায় (জন্মঃ অক্টোবর ১২, ১৮৬৪ - মৃত্যুঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ১৯৩৩) একজন প্রথিতযশা বাঙালি কবি, সমাজকর্মী এবং নারীবাদী লেখিকা। তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রীধারী ব্যক্তিত্ব। তিনি একসময় "জনৈক বঙ্গমহিলা" ছদ্মনামে লিখতেন। কামিনী রায়ের জন্ম পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের) বাকেরগঞ্জের বাসণ্ডা গ্রামে (বর্তমানে যা বরিশাল জেলার অংশ)। তার পিতা চণ্ডীচরণ সেন একজন ব্রাহ্মধর্মাবলম্বী, বিচারক ও ঐতিহাসিক লেখক ছিলেন। ১৮৭০ খ্রীস্টাব্দে চণ্ডীচরণ ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা লাভ করেন। শৈশবে তার পিতামহ তাকে কবিতা ও স্তোত্র আবৃত্তি করতে শেখাতেন। এভাবেই খুব কম বয়স থেকেই কামিনী রায় সাহিত্য রচনা করেন ও কবিত্ব-শক্তির স্ফূরণ ঘটান। তার জননীও তাকে গোপনে বর্ণমালা শিক্ষা দিতেন। কারণ তখনকার যুগে হিন্দু পুরমহিলাগণের লেখাপড়া শিক্ষা করাকে একান্তই নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে তিনি কবিতা লিখতেন। রচিত কবিতাগুলোতে জীবনের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনার সহজ-সরল ও সাবলীল প্রকাশ ঘটেছে। পনেরো বছর বয়সে তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ আলো ও ছায়া প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ খ্রীস্টাব্দে। এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছিলেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রথমে এতে গ্রন্থকর্ত্রী হিসেবে কামিনী রায়ের নাম প্রকাশিত হয় নাই। গ্রন্থটি প্রকাশিত হলে তার কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।

কামিনী রায় এর সর্বশেষ লেখা