এক শ্রাবণের ভারী বর্ষণমুখর রাতে কাউনিয়া রেলস্টেশনে গাড়ীর অপেক্ষায়--- আনমনে ভাবছে তরুণ, সোনালী পাতা হাতে। প্লাটফর্মে চা স্টলের বেঞ্চে বসে কঙ্কালের ছবি ট্রেনের অপেক্ষায়, পাটগ্রাম যাবে, হঠাৎ পিছন থেকে এক মধূর ডাক- কবি। পিছন ফিরে দেখে এক চঞ্চলা রূপসী তরুণী সামনে এসে হাস্যোজ্জ্বল মুখে আমার মুখোমুখি কিরে কবি, কেমন আছিস, তোর চেহারার এ অবস্থা কেন? আমি তোর আদরের কবিতা মুন্নী। এক নিমিষে এতো প্রশ্ন! উত্তরে আমি, কে কবি? কিসের কবি, তোমায় চিনি না আমি, আমি কবি না বুকের মাঝে খুইয়ে খুইয়ে তীব্র ঝড় হলো আরও উষ্ণ। জানি, তোর আমার উপর ভীষণ রাগ, তীব্রতর অভিমান, কি করবো মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে হঠাৎ গেলুম বাড়ি- তোকে জানাতে পারিনি, সেই রাতে বিয়ে হয়েছে আমার কবি তুই বল কি করে যোগাযোগ রাখি আর, আমি তরুণী থেকে নারী। আমি বুকের কষ্ট বুকেই চেপে রেখে মুখ তুলে তাকালেম তার মুখে দেখি দু'গাল বয়ে ঝরছে অশ্রুজল বললেম, আমি আপনাকে চিনি না, বুকে তীব্র শূণ্যতা বাড়ালেম। আমি কিন্তু তোর সিগারেট টানার সেই স্টাইল দেখে দূর থেকেই চিনেছি, কবি অভিমান করিস নে, আমায় ক্ষমা করে দে তোর দুলাভাই আমেরিকা থাকেন, আমি থাকি দেশে, আজ আসছে। আমি ওকে বললেম কিসের ক্ষমা, কাকে ক্ষমা, না না না! আমি চুপচাপ বেঞ্চে বসে তাকিয়ে মাটি দিকে একটার পর একটা পুড়েছে সোনালী পাতা ও'যেই এই রাতে ধরতে চাইলো আমার হাত, আমি; না। আমি শ্রাবণে তীব্র বরষায় গিয়ে দাঁড়ালেম পিছন থেকে কান্না কন্ঠে শুনলেম, প্লিজ বৃষ্টিতে ভিজো না, লালমনিরহাট যাবো___ স্বামীর বাড়ি, ট্রেনের পু পু শব্দে তার কন্ঠ হারালেম। ০২/০৯/১৬