মুখোশ শান্ত পৃথিবী এত কোলাহল, ডুবে আছি যেন এক অনন্ত বিষাদে। ধূ ধূ বালুচরে বসে করে চলি স্মৃতিরোমন্থন বদলে গেছি আমি, বদলে গেছে সময়, আর পৃথিবী। ঠিক সাপের খোলস বদলানোর মত। সকল আদিমতা বর্বরতা নয় রাস্তার পাশের বুড়ো বটগাছটা, প্রহর গুনে শতাব্দি পার হবার নির্মম অপেক্ষায়। মুষড়ে পড়ার ভাঁজে ভাঁজে তার; কত শত কাহিনী ঘুমায়। বেহালার সুরগুলো আজ বড় বাজখাই ছন্দে বাজে, কিশোরী বেলার সানাইয়ের সুর সে ছিল কিযে মধুর! মুহুর্মুহু ঢং ঢং শব্দে শোন ঐ আজ বিষাদের ঘণ্টা বাজে, চকিতে সজ্ঞা ফিরে পাই। কি আশায় মিছে স্বপ্ন বোনা! আশা হারায়, স্বপ্ন ভাঙ্গে, মানুষ পাল্টে যায় ষড় ঋতুর মত, নীল আকাশের মত, টাকার বাণ্ডিলেের মত, জাগতিক পাল্টে যাওয়ার পাল্লায় মেতে। একাকী জীবন কাঁদে হারানোর বেদনায়, যুগলবন্দী জীবন গান গায় মিলন মোহনায়, আমি জানি না কোন সে জীবন চিরকাল অক্ষয়! চারদিকে আজ দেখি মানবতার সে কি হাহাকার! খাবারের খোঁজে মারামারি, কুকুর, বিড়াল সবই আজ হয়েছে বন্যপ্রাণী। অগনিত এই মানুষের ভিড়ে আমি খুঁজে ফিরি শুধু আমাকে, কে সে মানুষ? আমি, তুমি নাকি সে? অমানুষগুলো থাকে যেখানে অদৃশ্য মুখোশে!