আমি মনের সাথে আজি, করি---- বোঝাপড়া, জানি না, কেন দিচ্ছে মোর হৃদয় নাড়া। হেমন্তের এই শেষ বিকালে, কি লেখি-- কী আবৃত্তি করি? এই সন্ধ্যে বেলায়, রজত জয়ন্তীর এই মেলায়। সন্ধ্যারাত, গগণ আধাঁর, স্বাধীনতার মাঠ থেকে, কিছুই বুঝা যায় না তার, চার দিকে লাল-সবুজ বাতি মনে...এ হয় না অন্ধকার রাতি। এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে, ভয়ে বুক কাঁপিতেছে ধুক্ ধুক্। আপনারাই বলুন--- কি আবৃত্তি করি আমি, আমি তো আবৃত্তিকার নই, পিটু ভাইয়ের মতো। তাছাড়া আমিতো লিখি না মতলুদার মতো কবিতা সনজীবনদার মতো ছড়া। বলুন তো, আকাশে বাতাসে আজি কিসের কল্লোল, পঁচিশ বৎসর পরে রজত জয়ন্তী এলো দিয়ে আনন্দের দোল ! স্বাধীন বাংলায় থেকে হা হা ক'রে হাসি, হঠাৎ করে কেন দেয় ঠেলা, সেই ইতিহাস আসি। এখনও কানে আসে--- কতো মায়ের কতো বোনের কতো প্রিয়ার কান্নার অট্টরোল ! আমার আবৃত্তি কি ভালো লাগচ্ছে আপনাদের--- জানি, ভালো লাগচ্ছে না--- ঠিক আছে ভাই, প্রয়োজন নাই হট্টগোল ! কী আবৃত্তি করি আমি, বলুন তো, আমি কী এখানে দাঁড়াবার উপযুক্ত ! অমিতাভ দাস হিমু কিংবা দেবাশিস দাস দেবু দার মতো আমি নই তো কবি। আবু জাফর সাবু ভাইয়ের মত আমি নই তো--- গীতিকার নাট্যকার সাংবাদিক কিংবা কবি। আমি কী কবিতা লেখতে পারি--- যদিও দুই এক লাইন লিখি আপনারা বলবেন, কোন কবির-- কবিতার লাইন করেছি চুরি। লাগচ্ছে লজ্জা--- বুকে হাত রেখে বলছি- যা লিখি, একান্ত নিজের মত লিখি। ভাললাগছে না, স্বাধীনতার ইতিহাস এসে বুকের মাঁঝে দিচ্ছে নাড়া ! কী আবৃত্তি করি--- কী আবৃত্তি করি ! __________________________ ১২/১২/১৯৯৬ স্বাধীনতার প্রাঙ্গণ, গাইবান্ধা #