চলতে চলতে ভাবনার সাগরে অপেক্ষার পর অপেক্ষা কাটলো বিকেল চারটা তবুও তুমি ঐ খানে ঐখান থেকে আসলে না ফিরে কষ্ট হলেও বাধ্য হয়ে ফিরছি আমি ঘরে। বিশ্বাস করো--- তোমাকে ছেড়ে আসতে কি মন চায় চলে যায় যে রিপন ভাই কি করি তাই! সময় চলে যায়, সময় কারো নয় বুক কাঁপে ভয় ভয়--- হয়তো কেউ আপন হবার নয়! এখন সন্ধ্যা ছয়টা হৃদয় মাঁঝে জায়গা করে নিতেছে হারিয়ে যাবার ভয়টা রিপন ভাই আর আমি পাশা-পাশি বসে দশমাইল পর্যস্ত যাব এই বাসে কালু-পীর বাজারে ইফতার সেরে চলছি আমরা বিশ্রামের জন্য নিজ নিজ ঘরে। দরজা মুখি সিটে আমি বসে প্রচন্ড শীতে কাঁপছি ঠান্ডা বাতাসে। অন্ধকার চারদিকে অন্ধকার পিচ ঢালা সরু পথে--- বাসের লাইটে গ্রামের পর গ্রাম চিঁড়ে মাঠের পর মাঠ চিঁড়ে হাট ছেড়ে ঘাট ছেড়ে এমন কি ঠাকুরগাঁও ছেড়ে বহুদিন পর ফিরছি মায়ের ছেলে মায়ের কোলে। কখন যে এসে সামনের সিটে আছে বসে এক তরুণ-রমনী--- আমার এই বুক কাঁপছে ধুক ধুক হৃদয় মাঁঝে উঠলো তৃঞ্চার ঝড় মনে হলো--- ঐ রমনী, আর কেউ নয় একদম তুমি ! তোমার চাদরের মত লাল চাদর পড়া ঠিক তোমার মতো--- ঐ বুকে ফুটন্ত পদ্ম এক জোড়া সবুজ শাড়ী পড়া। তুমি জানো হয়তো ফেরার সময়- আমার পকেটে পঞ্চাঁশ টাকা ছিলো মাত্র সিগারেটের পর সিগারেট টেনে সেটাও এখন শেষের দিকে রংপুর পর্যন্ত বাস ভাড়া যাবে--- রিপন ভাইয়ের পকেট থেকে। এখন রাত এগারোটা রংপুর বাসটার্মিনালের পাশে একাকী বিশ্বরোড়ে দাঁড়িয়ে কখন যে সময় চলে যায় ঐখানে রেখে এসেছি তোমায় লোকে যা বলে হয়তো কী, তাই ঠিক? ঘড়ির কাটা চলছে টিক টিক হয়তো আমি হবো না তোমার তুমিও হবে না আমার এই কথা কি ঠিক? রংপুর থেকে ঢাকার কোচে পলাশবাড়ী থেকে ট্যাক্সীতে গাইবান্ধা থেকে রিক্সায় ' চলছি এখন ফিরছি এখন, একটা ত্রিশে ভাবনা গুলো বুকে চেপে, মায়ের ছেলে মায়ের কোলে, গাঁয়ের কোলে। []___π[]π___π[]π___[] ১৭/০১/১৯৯৯ হরিপুর-ঠাকুরগাঁও থেকে বাসে বাড়ি ফেরার পথে #