করিম তুমি কেন জেল খানায় ভাই ? চুরির দায়ে____ আর তুমি এখানে রহিম, কোন পাপে ? ভাগ্য ফা'য়ে____ করিম রহিমকে কয় কাঁদিস ক্যান কিসের দুঃখে ? শুনলে তুমিও কাঁদবে, চাচা মরিল হার্ডএ্যাটার্কে, সেই দায়েই জেলে দিলো আমাকে আর বউটাকে। হো হো হা হা হা, তোর ভাগ্য ভালা দু'জনে জেলে, থাকো না কয়েকটা দিন শ্বশুরালয় বিচিন্তা মশগুলে, আর কয়দিন, যাবে তো ফিরে ঘরে দু'দুটি হাত মিলে। করিম তুমি চুপসে গেছো ক্যানো ? সব হারিয়েছ যেন, জানলে তুমি আমার কাহিনী, হা__! শুনাই তুমি শুনো__ চুরি টাকায় জমি কিনে গড়েছি ঘর সেইঘরেই পর, মানো। কি কও খুইলা কও? ও করিম ভাই__ চিন্তার কারণ ____, শুনো, এলাম জেলেতে হেসেছিলো মৌ' অকারণ! আমার বৌ আমার বাড়িঘরে করছে নয়া স্বামী ধারন। জেলখানায় আমারে দেখবার আসে নয়া নাগর নিয়া, যার মায়ার জন্যে এতো করলুম চুরি সে ভাঙ্গিল হিয়া, সে কয় তোমরা ছাড়া পাইলে আবার তোমাকে করবো বিয়া। করিম ভাইও রে, এই সব ঘরবাড়ী সব পর একদিন তো যাইতে হবে ছাড়ি, ছাড় তো মৌ'য়ের কথা, হক না ঘর পরের দুলা নিয়া সুখে থাক ঐ নারী। রহিম ভাই, তাই কই কি লাভ করে আহাজারি, জেলে চিন্তা নাই আছি সুখে করি না চুরিচামারি, ঘরপর যা'ই হোক, হোক না নাইও তো'সেই নারী। ০৩/০৪/১৮ রেলগেট, গাইবান্ধা ।।
ইদি আমিন
ইদি আমিন সদালাপী মিষ্টি ভাষী ও উদার মনের অধিকারী। তিনি শিশুকাল থেকে লেখালেখির সখ ছিলাে এবং তখন থেকেই লেখা চালিয়ে যান । তিনি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামে পহেলা জুলাই ১৯৭৬ সনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম খলিলুর রহমান, মাতার নাম মেহেরুন নেছা। তিনি ২০০০ইং সালে মাসুমা আকতারের সহিত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা জেলার নশরৎপুর গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (GUK) এ একজন উন্নয়ন কর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি দুই সন্তানের জনক। বড় মেয়ের বয়স ১৭ বৎসর, নাম ইসরাত আমিন ঈশিতা এবং ছেলের বয়স ৬ বৎসর, নাম মাহির লাবিব আমিন মাজ্জিন। স্ত্রী মাসুমা আমিন ফিরােজা তিনি একজন উন্নয়ন কর্মী ও গৃহিণী। তাঁর লেখা বিভিন্ন যৌথ কাব্যগ্রন্থসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
ইদি আমিন এর সর্বশেষ লেখা
2 মন্তব্য
- মন্তব্যের লিঙ্ক রবিবার, 20 সেপ্টেম্বর 2020 21:24 লিখেছেন নাজমুল কবির
দাদা ভাই পুরোটা পড়েছি। কিছু ভুল পেলাম ।
এটা মানুষ পড়বে না তাই এটি এখানেই সংরক্ষিত থাক।
মন্তব্য করুন
Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.