. (১) সবার সুখে হাসবো আমি মোঃ ইলিয়াছ আহমেদ ------------------------------ সবার ভালো চাই গো আমি থাকুক সবে সুখে, সবার সাথে থাকবো সদা ফুটবে হাসি মুখে । সত্য কথা বলবো সবে মিথ্যা নাহি বলি, ধরার বুকে সবার সনে সঠিক পথে চলি। মানব যদি থাকেন খুশি আমার লাগে ভালো, ভবের মাঝে ছড়িয়ে দিবো আমার যতো আলো। ভুবন জুড়ে প্রীতির সাথে উড়িয়ে দিবো কেতু, সবাই মিলে একই সাথে গড়ে তুলবো সেতু । হৃদয় দিয়ে জীবন দিয়ে রাখবো দেশে মান, মনের সুখে নয়ন মেলে গাইবো সুখে গান। []__π[]π__π[]π___[] (২) স্মৃতি রাঙা ভালোবাসা রমাকান্ত পাঁজা -------------------- ঊনত্রিশ বছর ধরে রেখেছি যতন করে গোলাপের পাপড়ি আর পত্র, এখনো তোমায় দেখি সর্বত্র। পত্রটা পড়ি আমি যতবার আঁখি দু'টি ভিজে ওঠে বারবার, অশ্রু সিক্ত গোলাপের পাপড়ি বলে আমি শুধু তোমারই। ঘরে তার হলো না আসা মনে তার আস্ত একটা বাসা, সেখানে ভালোবাসাবাসি মাখা মুহূর্তগুলো আছে রাখা। কত গল্প কত কথা, কত হাসি কত ব্যথা সবকিছু আজ জমা রাখা আছে সেথা টুবটুবে মৌ ভরা মৌচাকের মতো- ইচ্ছে মতো নাও তুমি, খেতে পারো যতো। স্মৃতির গোলাপ টাটকা এখনো কাঁটা বেঁধা হৃদখানি রক্তে রাঙানো, আনন্দে ভেজা অনুভূতিগুলো ছটফট করে তোমায় ছোঁয়ার প্রতীক্ষারা পড়েছে জ্বরে। তুমি এসে দাও আলতো ছোঁয়ার পট্টি "ভালোবাসি" বলার সুযোগ দাও আর একবারটি। ধন্য হই তোমায় পেয়ে জীবন তরী এভাবেই যাক বেয়ে। []__π[]π__π[]π___[] (৩) শিশু ও প্রজাপতি আব্দুল লতিফ -------------------- প্রজাপতি চললে কোথা রঙিন ডানা মেলে, নাও না তুমি সঙ্গে আমায় যাচ্ছ কেনো ফেলে? রঙ বেরঙের ফুলের মধু দেখবে তুমি চেখে, ফুলের উপর ঘুমিয়ে যাবে ফুলের রেণু মেখে। প্রজাপতি কোথায় পেলে এমন রঙিন পাখা, ডানার উপর মন ভরানো স্বপ্ন আছে আঁকা। প্রজাপতি বন্ধু হবে ইচ্ছা জাগে মনে, খুশিমত ফুলের বনে ঘুরবো তোমার সনে। পূর্বে নাকি ছিলে তুমি বিশ্রী শুঁয়োপোকা, বিজ্ঞানীদের বইয়ে আছে সেসব কথা লেখা। আমি কিন্তু ওসব কিছু ভাবছি নাকো মনে, ভাবছি,তুমি বন্ধু বলে ডাকবে কতক্ষণে। ফুলের বনে তোমার সাথে হারিয়ে যেতে চাই, রইবো খুশি তোমার মতো বন্ধু যদি পাই। []__π[]π__π[]π___[] (৪) স্রষ্টার দান নূরবানু রীনা ---------------- তোমার একটি কথায় হেসে ওঠে আজও আমার পৃথিবী তেমনি তোমার একটি কথায় ব্যথার নীল সাগরে ভেসে যায় আমার সবকিছু আজ অবধি। এতো কেবল সাময়িক লাভ-ক্ষতি স্রষ্টা দেখেন হৃদয়ের প্রীতি। কখনও তুমি উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলো, "তুমিতো সবই আমার প্রিয়া"। কখনও নিষ্ঠুরতায় মেতে বল, "সেতো ছিলো কেবল নস্টালজিয়া"। দু'টি বাক্যের ব্যবধান আকাশ আর মাটির দূরত্বের মতো তাইতো শুনে কখনও খুশির প্লাবনে ভেসে হয়ে উঠি উন্নত; তেমনি নীরব যন্ত্রণায় ডুবে যাই হৃদয়কে করে নত। এও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর অনুভূতি জীবনের ক্ষণস্থায়ী অনুতাপ, দুঃখানুভুতি। ভালোবাসি আজ পারি না বলতে যেমন তার সাথে না কথাটিও মানায় না তেমন। নিঃস্বার্থ এ প্রেমে কামনার কিছু নেই আমার তবু কেন নিষ্ঠুর এ ছলনা তোমার? ভালোবাসাটুকু চাইনিতো দু'হাত পেতে ভিখারির মতো তবু কেনো কথার আঘাতে হৃদয়ে করলে ক্ষত? তোমার হৃদয় ভরেছে হাসি আর গানে সে খুশির দোলা লাগে আমারও প্রাণে। তবে কেনো এতো হিংস্র হয়ে ওঠো করতে আঘাত দু'চোখে আমার সৃষ্টি করো জলপ্রপাত? তোমার মঙ্গল কামনায় দ্বিধান্বিত নয় আমার হৃদয় তবু বারবার কাঁদিয়ে বলো,"আজ শেষ বিদায়"। পাইনি তো কখনও একফোঁটা উদলা সময় যেটুকু পেয়েছি ভরেছিলো তাও কষ্টের কালিমাময় প্রমাণ দেবার মত সুযোগ দাওনি তো কিছু তবে কি করে জেনে গেলে, আমি এতো নীচু? মৃত্যুর সাথে মিশে যাবো নিশ্চয়ই কোনো একদিন জীবনের লেনাদেনা কেবল চুকে যাবে সেদিন। তারপর স্রষ্টার বিচার পেতে থাকবো চেয়ে পৃথিবীতে কে কার কতটুকু প্রেম পেলো, জেনে যাবো তার কৃপা পেয়ে। যোগ্যতার প্রমাণ করবেন সেতো মহান প্রভু হৃদয়ের মাঝে তার নাম ভুলিনি তো কভু। তিনি থাকেন মানুষের ধারণার সাথে মিশে শেষ বিচারে নিশ্চয়ই কেউ কিছু পাবে অবশেষে। যা তিনি দেন উদার করে তাই নয় শেষ দেবার মত ধন তার রয়েছে অশেষ। চাই আমি তোমাকেই তার কাছে বারবার যদি কোনো কালে তিনি দেন হয় যদি দেবার। সব সমাধান করে দিতে পারেন তিনি পৃথিবীর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী যিনি। মানুষের কাছে হাত পাতিনি কখনো; কোনো সমাধান পেতে দ্বারস্থ হইনি কারো যদি আনমনে চেয়ে থাকি কিছু কারো কাছে সে আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল হৃদয়ের মাঝে। সেক্ষেত্রে ক্ষমা আমি চাইবো এক অদ্বিতীয় আল্লাহপাকের কাছে। []__π[]π__π[]π___[] (৫) ঠিকানা তার আস্তাকুঁড়ে আবু জাফর দিলু ----------------------- ঠিকানা তার আস্তাকুঁড়ে বেমালুম যায় ভুলে, পেশীর বলে জ্ঞানহারা হয় বিবেক চড়ায় শূলে ! শূন্য থেকে প্রাসাদ মালিক কথায় দম্ভ হাঁকে, ক্ষমতা ও টাকার গন্ধে সদাই বেঁহুশ থাকে ! ঘটে বুদ্ধি থাক্ বা না থাক্ অসুর থলে ভরা, খামখেয়ালির মহারাজা ধরাকে ভাবে সরা ! দুধের মাছি তৈলমর্দন দক্ষ অতিশয়, পা চাটাই তার মস্ত পুঁজি জগৎ করে জয় ! ন্যায়-নীতি ও গুণের কদর পায় মাড়িয়ে চলে, চোখ রাঙিয়ে মানুষগুলো রাখে পদতলে ! []__π[]π__π[]π___[] (৬) পাপের পথ মোঃ শহিদুল ইসলাম গাজী ------------------------------------ পচন ধরেছে বিবেকের ঘরে শিক্ষার জ্ঞান করেনি স্পর্শ এরা তো নামে মানুষ মাত্র জগতের এক অপদার্থ। জাতির শ্রেষ্ঠ কুলাঙ্গার এরা মাতৃত্ব স্নেহ বোঝে না কে আপন কে পর আসল হিসাব কষে না। শিক্ষাঙ্গন পবিত্র স্থান শিক্ষক শিক্ষিকা দেব দেবী তাদের পায়ের ধুলিকণা অমূল্য রত্ন নামিদামি। বেয়াদবি করবে না কেউ পবিত্র ওই প্রতিষ্ঠানে জীবন যৌবন বৃথা যাবে সুফল পাবে না জীবনে। পাপের পথে ক্ষণিকের মজা চোখ ডুবিলে শুধুই আঁধার ক্ষমতার দাপটে অপকর্ম কর পাবে একদিন সঠিক বিচার। []__π[]π__π[]π___[] (৭) মানুষ! (ছড়া) মুহম্মদ মহসীন -------------------- চেনা মানুষ অচেনা হয় অচেনা হয় চেনা, কেউ বলেন মানুষ নাকি অতি সহজ কেনা- নগদ কিবা দেনা। এই মানু্ষ সেই মানুষ সেই মানুষ খুঁজি, নিজ মধ্যে কোন মানুষ সেটা কি গো বুঝি- কোথা বিবেক পুঁজি। []__π[]π__π[]π___[]