জোছনা দীঘল উঠান একদিন ঠিক গভীর অন্ধকার কেটে ফিরিয়া পাবে বসন্ত প্রাণ, রাঙিয়ে দিবেই বাউল জীবন, বেদনার নীল, বিষদের আঁধারচিত্র কাটিয়া পলাশে রাঙাবে কবিতায় কবিতায় এই মন। একদিন অবহেলা অনাদরের সব পাহাড় ডিঙিয়ে আমি উঠে যাব তোমার গোলাপ ময় ঠোঁটে, ওষ্ঠদ্বয়ে ওষ্ঠ রাখিয়া কেটে যাবে অনাহারী আঠার বসন্ত, জড়তা ভেঙ্গে আসবে কামনারা ছুটে। ভাঙিয়া উদাসীনতা বসন্তে উড়বে বাউলমন কৃষ্ণচূড়ায় রাঙিবে পরিত্যক্ত তোমার ঝাউবন, সেই মহাকালে আর থামাতে পারবে না, তোমার অলসঘুম; তুমি তিমির ঠেলিয়া হবে অতি আপন। ঝর্ণার ধারায় নিস্তব্ধ রাতে ভেসে যাবে তুমি আমারি সাথে, রাঙাবে তুমি উপচে দিয়ে, চন্দ্রগ্রহণ আর থাকবে না, তোমার সজীব কবিতায় মহনীয় কোমলতা ভরাবে এই বাউলমন। আঠারো বসন্তহীন ঘুণে ধরা কঙ্কাল বুকে ভরে উঠবে অনন্তকালের মরে যাওয়া আকুলিত সুখে, অথৈ জলে ভাসবে মরে যাওয়া নদী, ভাঙবে উথালপাতাল ঢেউ ধুধু মরুময় বালুচরের বুকে। ছোঁয়ায় ছোঁয়ায় উপছে পরবে জোছনা দীঘল উঠান, তোমার বুকে আমার সুখে ভাসিয়ে যাবে দীর্ঘ তুফান। ১৫/০২/১৮ পূর্বপাড়া, গাইবান্ধা।