মানুষ দুঃখের সাগরে ডুবে সুখ হাতড়ে বেড়ায়, প্রাপ্তিতে সেই সুখও একদিন সাগরে ভাসায়, দুয়ের বন্ধন বলয়ে যা অক্ষয়-- তার নাম মহামারী, মহাপ্রলয়। সুখ যদি হয় সুউচ্চ অট্টালিকা-- তবে কি সেথায় মৃদু হাওয়া বয়! ঝিরিঝিরি ছন্দে কানাকানি হয়! মৌসুমী মাতম লাগে, পরম সুখের আবেশে! কেটে যায় দিনগুলো অবলীলায়, অনায়াসে! সে কি ঝর্ণার মত চঞ্চল! নাকি অপেক্ষমান মাছরাঙার আদল! হিমালয়ের মত সুঠাম দেহে কি তার, হেমন্তের মৃদু হাওয়া বয়! দুঃখ কি তবে খড়ের ঘর! সবুজ ঘাসের পাটাতন! সূর্যের আলোয় ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ে রৌদ্রস্নান! কচুরীপানার চেয়ে দুর্বল সে কি! যেমন পানিতে লবণের দ্রবণ! মরু সাইমুমের দুর্বার ঝড়ে সে কি, করে দিতে পারে; নিরুপায়, নিরাশ্রয়! তাহলে কি আলোকিত এক প্রিজমের মত এ জীবন! সুখ, দুঃখের মত তার বহু রূপায়ন! অর্থময়তা, ভাব আর অনুভূতিতে, স্বপ্নের বহুবর্ণিল বিচ্ছুরণ! এক রঙ থেকে বহুরঙে, ভাবনা থেকে বিশ্বাসে, বিশ্বাস থেকে দ্বন্দ্বে, বাস্তবতা থেকে ঘোরময়তায়-- এভাবেই চলে জীবনের রুপান্তর,পরিবর্তন।