শুক্রবার, 06 নভেম্বর 2020 17:18

সেজদায় পড়ে থাকা আমি নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(1 ভোট)
                সেজদায় পড়ে থাকা আমি 

১
অনন্ত যৌবনা পৃথিবী পেছনে ফেলে
চলে যেতে হবে বাধ্য-দাসের মতো
যা কিছু সম্ভার, শব্দ রং তুলির বাহার
পড়ে রবে ঢের দূর জীবন্ত প্রান্তরে।

আমার পোশাক, ঘর সাজানো স্বপ্নের আলো ঝলমলে উঠোনের ধান, গৃ্হস্থালী 
সংসারের মায়ার বন্ধন এসব এখানে
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো রয়ে যাবে।

২
পৃথিবীর রুপ-রস-স্পর্শ-গন্ধ 
আবেগী প্রহর 
আপন স্বার্থপর গতির দেমাগে
ব্যঙ্গহেসে, চলে যাবে যোজন-যোজন দূর, 
অনাগত সময়ের উষ্ণ আহ্বানে।

যা কিছু আমার! আমার চলার পথে আমার আমির পাশে 
সুন্দর নয়নাভিরাম, ছলা-কলা ভালোবাসা বিত্ত-বৈভব 
ক্ষমতা-মিছিল কিছুই আমার নয়।

৩
আমার এ দেহ-চোখ, শরীরের সকল ইন্দ্রিয়, কারুকাজ 
নিজস্ব নিয়মে আমার নূতন পথ ছেড়ে
আশ্রয় নেবে নিজ ঠিকানায়।

আমার চলার পথের চির সাথী বন্ধু একান্ত পরম আত্মিয় ছায়া 
আবর্জনার মতো মাটির খোড়লে ফেলে রয়ে যাবে 
আমির মুখোশগুলো, আমিহীন পড়ে রবে, চলে যাব আমি ভিন্ন অপেক্ষায়।

৪
আমি একা! 
আমি'র চলার পথ অতি সূক্ষ্ম, অদৃশ্য অলৌকিক 
সেখানে শুধুই আমি, আমি রাজা আমি প্রজা, আমিই আসামী-বিচারক-কারাগার, 
সীমিত আমির মাঝে এ এক অসহায় আমি
চারদিকে শুধু প্রতিধ্বনি...
একা আসা, একা যাওয়া, মুক্তির সরল পথে এ কেবল এক অসীমের দ্বারে সেজদায় পড়ে থাকা আমি।

০১/১১/২০২০, বরিশাল।            
            
544 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ শনিবার, 14 নভেম্বর 2020 22:29
শেয়ার করুন
কে এম আলাউদ্দীন

কে এম আলাউদ্দিন বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামে পহেলা মে ১৯৫৩ ইং সনে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আব্দুল হামিদ মিয়া, মাতা মরহুমা রাবেয়া খাতুন। ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি সকলের বড় । শৈশবকাল হইতেই তিনি লেখা প্রতি ঝোঁক ছিল। তিনি বরিশাল এপেক্স হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হতে ডি.এইস.এম.এস. ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে আসছেন। সদা হাস্যোজ্জল ব্যক্তি তিনি। আলোর মুখোমুখি নামে তার একটি কবিতার বই ১৯৮৫ সনে প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানেও তিনি নিয়মিত ভাবে লিখে চলেছেন, সাহিত্যের একজন সেবক হিসেবে এখনও তিনি সক্রিয়। তিনি বর্তমানে ৭৭৫, সদর রোড, শাকুর ম্যানসন (ক্যাপ্টেন নজিব উদ্দিন ক্লিনিক সংলগ্ন) বরিশাল শহরে বসবাস করছেন।

এই বিভাগে আরো: « গরীব ধনী জীবনের কড়চা »

1 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.