ছখিনার ঘর ভাঙ্গলো ছখিনার ঘর ভাঙ্গলো স্বামীর সংসারে সে অগ্রাহ্য, কেঁদে কেঁদে কত রাত হলো পার শত যন্ত্রণায় পালায়নি সে সব কিছুই মুখবুজে করেছে সহ্য। ক্ষুদা আর দারিদ্রতায় মাখা দাম্পত্য স্বপ্ন-সুখ আর প্রেমের আশায় হারভাঙ্গা অলস শরীলে দিন গুনে গুনে দু'টি বছর ধরেছিলো র্ধায্য। স্বামীর চরণে হলো না স্থান পৃথিবী অন্ধকার চারি পাশ নিঃস্ব, অভাগা তরুণীর শিশুকালে বাপ মরলো বিয়ের আগেই বাপের ভিটা নদীই ভাঙ্গলো নীড় হারা ছখিনার চোখে ভাসে একে একে দুঃখে গাঁথা সকল দৃশ্য। দিক হারা পথ হারা তরুণীর দেহে উপছে পড়া যৌবন এখন মরুর দুঃস্বপ্ন, একলা তাহার পথ চলতে চলতে বুকে মাঁঝে বহে নীল ঝড় কষ্টে হয় শ্বাসরুদ্ধ, শুরুতেই থামল তার সমর যুদ্ধ। ছখিনার বুকে শত প্রশ্ন কেন সংসার ভাঙ্গলো ? কী, দোষ ছিলো আমার ? নাকি স্বামীর মহাজনের লোভ--- তার হাতের ইশারায় ? কেন এমন হলো ? শরীলে কাঁপুনি, চোখে ভয়, মাতাল সোয়ামীর নির্যাতনের রূপ যখনি মনে হয়। এখন জীর্ণশরীল নিয়ে পা'ফেলতেই বুকে আতঙ্ক , শূণ্য হৃদয় কেন যে মেলেনা বার বার হিসেব কষেও ছখিনার অংক। কেউ নেই কেউ কি নেই ছখিনা ! তোমার পাশে ? কবি আছে কবির কলম আছে কবিতাময় প্রেম আছে চালিয়ে যাও তুমি জীবন যুদ্ধ অতীত সব জ্বালিয়ে দাও গুড়িয়ে দাও--- ||______||______||_______||________|| ১৬/১০/২০০৫ বাবুর দোকান, উদাখালী,, গাইবান্ধা।