বৃহষ্পতিবার, 10 ডিসেম্বর 2020 22:51

বাঙ্গালী স্বপ্ন দেখে নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(1 ভোট)
                বাঙ্গালী স্বপ্ন দেখে

পৃথিবীর বুকে দাঁড়াতে চাই মোরা, বাংলার মাটি নিয়ে,
রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলী, নজরুলের অগ্নিবীণার সুরে।
রুপসী বাংলা, সোনার বাংলা, বাংলা মাটির দানে,
এমন সোনা ফলায় কৃষক, পৃথিবীর বিরলে।
বেহেস্তের দ্বার, স্বর্গের দ্বার ইবনে বতুতার বাণী,
ভিনদেশীদের মুগ্ধ করে, বাংলা মায়ের শাড়ি।
অর্থবিনে, শক্তিহীনে রোহিঙ্গাদের স্বভাব নিয়ে 
জল ডুবুরির বেশ ধরে মানচিত্রে যেনো শুয়ে, 
শক্তি পুজোয় মত্ত হয়ে দেশ ছুটে দেশ-দেশান্তরে,
অবহেলায় বাংলাদেশ, খেলছে তখন খরগোশ রেস
জাগো জাতি দেখাও বেশ অতীত যেমন বঙ্গদেশ, 
নতুন জাতি, নতুন বুলি স্থান করেছে যেমন শুনি।

বাঙালির ক্ষুরধার পাকসেনারা জানে,
তেমনি করে জাগো জাতি অস্তিত্বের টানে।
সাবাস বাংলা! চঞ্চলা স্রোতের বেগে,
শক্তি নয়, যুদ্ধ নয়, বুদ্ধিমত্তা বলে,
দূর্মর প্রাণে, জেগে উঠবে পৃথিবীর তরে।

বিশ্ব মোড়ল দেশের নেতা ভাবেনি কভু মনে
গোবরে পদ্মফুল ফুটবে কোন কালে।
অচিরেই এমন সন্তান, বাংলা করবে দান।
তাদের দ্বারা সুনাম খ্যাতি বয়ে আনবে সমীরণ।

বাংলাদেশে সুনাম-খ্যাতির সূর্য আলো জ্বেলে,
চন্দ্র থেকে ফোয়ারা নামে দৃষ্টি অগচরে।
আসবে ছুটে করবে দেখা গড়বে কত মৈত্রী 
আতশী কাঁচে মানচিত্রে দেখবে কোন দেশটি।
বাংলার কৃষক, বাংলার তরুণ, বাংলার মানব যারা
ভয় নাই ওরে, চল ছুটে চল দেখবি জয়ের ধারা।
___________________________            
            
586 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ রবিবার, 27 ডিসেম্বর 2020 20:15
শেয়ার করুন
মোহাম্মাদ আজিজুল হক

মোহাম্মাদ আজিজুল হক ১৯৮৬ সালে ২ অক্টোবর, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের নন্দকুজা নদীর তীরে, মধ্যবিত্ত এক মুসলিম পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন। পিতা আলহাজ্ব মো. আব্দুস সাত্তার, মাতা মোছা. জয়নব বেগম (পরি)- এর চার সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। শৈশব থেকেই সাহিত্যের প্রতি তাঁর ছিলো ব্যাপক অনুরাগ। প্রিয় নদী নন্দকুজার ঢেউয়ের তালে, জোৎস্নাস্নাত রাতে ছন্দ খুঁজে পান। দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'প্রেমাঞ্জলি' প্রকাশিত হয়। তারপর দীর্ঘ সময় সাতিত্য চর্চা থেকে দূরে থাকলেও ২০১৫ সালে, পুনরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি শুরু করেন। ২০১৬ সালে,একুশে বই মেলাতে তাঁর ছোট গল্প 'দ্বীপান্তর' ২০১৭ সালে একুশে বই মেলায় 'সবুজের বুকে লাল' ও 'আলো ছায়া' কাব্যগ্রন্থ (যৌথভাবে) প্রকাশিত হয়। ২০২০ সালে অমর একুশে বই মেলাতে একগুচ্ছ গল্পনিয়ে 'স্বপ্নদেবী' প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তার গবেষণা গ্রন্থ, নিজ জেলা নাটোর নিয়ে 'ঐতিহ্যের লীলাভূমি নাটোর' উপন্যাস 'আমি হেরে গেলাম' প্রবন্ধ 'এসো দুশ্চিন্তা ও বেকারত্বহীন জীবন গড়ি' প্রকাশের অপেক্ষায়। তিনি লেখালেখির সঙ্গে নিবিড় ভাবে জড়িত। তার লেখায় চিরায়ত গ্রামবাংলার সৌন্দর্য ফুটে উঠে, শৈল্পীক শব্দের কাঁরুকাজে। ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল কোর্স ও বি এস এস ডিগ্রী শেষ করে, মানব সেবার ব্রত নিয়ে চিকিৎসা সেবায় তিনি নিয়োজিত আছেন। খেয়ালী মনের মানুষ লেখালেখির মাঝে খুঁজে পান জীবনের আস্বাদন। দাম্পত্য জীবনে তিনি এক সন্তানের (রিফাতুজ্জামান ইমন)-এর জনক। বর্তমান বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। আশা করি তার লেখা পড়ে পাঠক মুগ্ধ হবেন।

2 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.