. শীতের কাব্য শীতের বুড়ি নামলো গাঁয়ে চাদর মুড়ি দিয়ে, সর্ষে ফুলের গায়ে হলুদ কালকে যে তার বিয়ে। মৌমাছিরা গুনগুনিয়ে বলে গেল কি যে! মটর ডগা হেসে মরে শিশির জলে ভিজে। হলুদ ফুলের বুকের ভেতর জমে উঠে মধু, শীতের হাওয়া কাঁপন ধরায় লাজে রাঙা বধূ। চন্দ্রপুলি পাটিসাপটা নলেন গুড়ের পায়েস, খেজুর রসের চিতই পিঠা মিটলো মনের আয়েস। পিঠা পুলির গন্ধে আজি মাতাল গাঁয়ের বাতাস, পথ ভুলে যায় শীতল হাওয়া মুচকি হাসে আকাশ। হিম কুয়াশার চাদর মোড়া গাঁয়ের পথে ঘাটে, শীতের ফসল উঠলো ভরে কৃষক ফলায় মাঠে। ঘাসের বুকে শিশির কণা ঝলমলিয়ে হাসে, নাড়া পুড়ায় ছেলে বুড়ো শীতের প্রকোপ নাশে। শীতের মজা আমরা লুটি সারা জীবন ভরে, পথের পাশে কাঁদছে শিশু ছেড়া কাপড় পরে। রাস্তা ঘাটে ঘুমায় মানুষ চটের কাঁথা গায়ে, শীতে কাঁপে ঠকঠকিয়ে মশার কামড় খেয়ে। পিঠাপুলি দূরের কথা আহার নাহি জোটে, কেউ ভাবি না তাদের কথা একটি দিনও মোটে। একটু যদি দয়া করে হাতটি সবাই বাড়াই, কাঁদবে না আর পথ শিশু থাকবে সুখে সবাই। .................................................................…........