আতিথেয়তা যাবে তুমি সাথে আজ প্রভাতে সুন্দর গ্রামটায় জোনাক জ্বলা রাতের বেলা মন প্রাণ উথলায়। খাল বিল নদী পার হয়ে যদি যাও মোর সাথে মন ভরে রবে গ্রামে যবে যাবে মুগ্ধ হবে তাতে। খেজুরের রস মন করে বস ছোট্ট সেই গ্রামে আশা ভরা মনে সেথা কতজনে সহসাই থামে। ভেবে দেখো তাই চল মোরা যাই গ্রামের মেলায় ধান পাটে ঘেরা বাড়ি ঘরে তারা আসর বসায়। শুনে পালা গান পুলকিত প্রাণ খুশিতে নাচায় অর্থের অভাবে মিলে মিশে সবে জীবন চালায়। গলাগলি ধরে কত খেলা করে ছোট ছেলেমেয়ে ধুলা বালি মেখে ভয় ডর রেখে ছুটে চলে ধেয়ে। তুমি দেখ যদি ছোট সেই নদী জুড়াবে নয়ন সুখের ছোঁয়ায় প্রাণের দোলায় দেখিবে স্বপন। ছোট ছোট পাখি করে ডাকাডাকি কিচিরমিচির সারা গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সুখের কুটির। কিষান কিষানি হাত টানাটানি সারা মাস ধরে ফসলের শেষে মাঠে খাটে হেঁসে ঘাম পড়ে ঝরে। দাওয়ায় বসে মিলে মিশে হাসে সাঁঝের বেলায় আঙিনার ধারে কিছু অবসরে ভাটিয়ালি গায়। হাসি খুশি ভরা এই নিয়ে তারা গ্রামে করে বাস পাড়া প্রতিবেশী একসাথে বসি সুখের আবাস। বাড়ি বাড়ি যাবে কাছাকাছি পাবে গ্রাম্য সরলতা দূরে কিবা কাছে পাশাপাশি আছে গ্রামের হৃদ্যতা। আজো আমি পাই যবে গ্রামে যাই সে আতিথেয়তা কাছে নেয় ডেকে ওরা মন থেকে কত সরলতা। গ্রামে তুমি গেলে দেখো সবে মিলে যত্ন করে কত গ্রামের মাটিতে প্রতিটি বাটিতে আত্মীয়তা শত। দখিনা হাওয়া শান্তিতে পাওয়া প্রাণের বারতা ঢেউ খেলা ধানে মন শুধু টানে গ্রামের মুগ্ধতা। গোধূলির ধুলি দেখে যাবে ভুলি কত রূপ গ্রামে রাঙা আলিঙ্গনে গেঁথে থাকে মনে পটে সূর্য থামে। যত দূরে যাবে ফিরে ফিরে চাবে গ্রামটি এমন খেলাধুলা নিয়ে হৃদ্যতা বিলিয়ে কাটায় জীবন। এঁকে বেঁকে নদী যায় নিরবধি গ্রাম গ্রামান্তরে সরলতা ভরা ভালোবাসা ঝরা গ্রামীন অন্তরে। ভেজা কুয়াশায় মেঠো পথটায় ছোটো ছোটো ঘাস পাও ভিজে যায় শিশির ছোঁয়ায় তৃপ্তির আভাস। ভোরের বেলায় মাঠে বসে খায় পান্তা ভাতে নাস্তা গাড়ি ঘোড়া নাই নিরিবিলি তাই পায়ে চলা রাস্তা। চলো তবে যাই ছোট গ্রামটায় এই অবসরে নাই পিছু টান সুখ মাখা প্রাণ দেখি গ্রামটারে। শোন বলি তবু খেয়েছো কি কভু কলার পাতায় নিমন্ত্রণে গিয়ে পেট ভরে খেয়ে প্রাণ ভরে যায়। একবার যেয়ে এতো মজা পেয়ে বারবার যাবে শিশিরের ছোঁয়া সকলের দোয়া গ্রামেই পাবে। ঘুরেফিরে তাই গ্রামে চলে যাই গ্রাম ভালোবাসি আনন্দের রেশ সুখের আবেশ তাই গ্রামে আসি।
মাহমুদ রেজা
বর্তমানে সপরিবারে অভিবাসী মেরু প্রান্তের দেশ সুইডেনে। কারিগরী পেশায় চাকুরিজীবী লেজার নিয়ে। ভিটেবাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলায়। শৈশব কৈশোর গ্রামে পার করে মাঝামাঝি যৌবনে দেশ ছেড়ে হয়েছি প্রবাসী। দেশ যেমন ভুলে থাকা যায় না ঠিক তেমনি হাজার স্মৃতি বিজড়িত শৈশব কৈশোর মনটাকে টেনে নিয়ে যায় দেশের মাটিতে। উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে কারিগরি শিক্ষার জন্য সাহিত্যের চর্চার অভ্যাস কোনদিনই ছিল না। ঘুনাক্ষরেও কখনো চেষ্টা করা হয়নি। প্রবাসের পড়াশোনা, আত্মপ্রতিষ্ঠার নিরবিচ্ছিন্ন শ্রম সাহিত্য চর্চা থেকে দূরেই রাখতে হয়েছে নিজেকে। আব্বার লেখার অভ্যাস ছিল কিছুটা কিন্তু তা মুকুলেই শেষ হয়েছিল বোধহয়। আব্বার জীবদ্দশায় সুযোগ হয়নি এ নিয়ে আলোচনার। নিজের সুপ্ত সম্ভাবনা আজ দেরিতে হলেও যা সৃষ্টি করতে পারছি, আব্বার অজানা রয়ে গেল। ছন্দের মাধুর্য্যতায় বাংলা কবিতা ঋদ্ব এবং সমৃদ্ধ, শ্রুতিমধুরতায় বিশ্বের সেরা ভাষা। ছন্দময় কবিতা আমার লেখায় প্রতিভাত হয়ে থাকে। প্রকাশিত লেখা "ছড়ার মেলা ; মন মুকুরের ভেলা । প্রকাশের পথে, হৃদয়ের নৈবেদ্য।
মাহমুদ রেজা এর সর্বশেষ লেখা
4 মন্তব্য
- মন্তব্যের লিঙ্ক সোমবার, 18 জানুয়ারী 2021 20:07 লিখেছেন নাজমুল কবির
এখন থেকে সপ্তাহে তিনটি লেখার বেশি যুক্ত হবে না। বাকি লেখা ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত থাকবে।
- মন্তব্যের লিঙ্ক সোমবার, 18 জানুয়ারী 2021 20:07 লিখেছেন নাজমুল কবির
এখন থেকে সপ্তাহে তিনটি লেখার বেশি যুক্ত হবে না। বাকি লেখা ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত থাকবে।
- মন্তব্যের লিঙ্ক সোমবার, 18 জানুয়ারী 2021 20:07 লিখেছেন নাজমুল কবির
এখন থেকে সপ্তাহে তিনটি লেখার বেশি যুক্ত হবে না। বাকি লেখা ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত থাকবে।
- মন্তব্যের লিঙ্ক সোমবার, 18 জানুয়ারী 2021 20:07 লিখেছেন নাজমুল কবির
এখন থেকে সপ্তাহে তিনটি লেখার বেশি যুক্ত হবে না। বাকি লেখা ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত থাকবে।
মন্তব্য করুন
Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.