শরৎ যে বয়ে যায় কইগো সোনার মেয়ে! বসে আছো ঘরের কোণে? শরৎ যে যায় বয়ে। ঢাকের তালে, শাঁখের সুরে, এসেছে ধরায় দুর্গতিনাশিনী, এসেছে তোমার দুয়ারে। দেখলে না চেয়ে? সময় যে বয়ে যায় কালগ্রাসে, মা যে চলে যাবে কৈলাসে। কত ভোর ডেকে গেল, শিউলিরা ঝরে গেল, সুবাস ছড়িয়ে অনুক্ষণ। কাশবনে দেখ চেয়ে জাগে কোন শিহরণ, ক্ষণে ক্ষণে দোলা দেয় চঞ্চল সমীরণ। মেঘেদের পালকিতে ভেসে যায় কোন দেশে, মেঘবালিকা। আমি যে অধরা, বলে যায় হেসে হেসে, শুধু কুহেলিকা। শাপলা শালুকে বিল ঝিল গেছে ভরে। পদ্মের হাসিতে সুখ যেন ঝরে পড়ে। শিশিরের রিনিঝিনি, কুয়াশার হাতছানি। রাত হাসে, চাঁদ হাসে, জোছনায় মাখামাখি। এসো আজ পুকুরধারে একটু খানি বসি। দেখ চেয়ে জোছনায় ধরাধাম যায় ভাসি। চাঁদের বুকে বাঁধ ভেঙেছে, মেঘের লুকোচুরি। বাঁশ বগানে জোনাকিরা জ্বলছে মিটিমিটি তাই না দেখে মুখ বাঁকিয়ে হাসছে চাঁদের বুড়ি। কত আর রইবে ঘুমে! জাগো মেয়ে, শরৎ যে বয়ে যায়, শিশির ভেজা ঘাসের বুকে চুমে। ......................................