অতল গহ্বরে! বড্ড সাধ ছিলো নেতা হবার নেতার আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে দেশের সেবায় ব্রত হবো! বর্তমানের হালচাল ভালো নেই দিনকাল। ভোটের আগে আদর্শ নেতার মুখের বুলি মিষ্টি মধুর কথার ঝুলি। ব্যালট ভোটের খেলা শেষ নেতা গায়েব, নিরুদ্দেশ। ভোটের আগে কল করলে কেটে ফের কল দিত! মধুমাখা কুশল বিনিময় চলতো। এখন কল কাটেও না, ধরেও না। বারংবার কলের পরে মনে হয়, আকাশ থেকে মুক্তির সংবিধান নিয়ে নেমেছেন মানবের সেবায়। ধরে বলেন 'জরুরি মিটিং এ আছি'; পরে কল দিচ্ছি। নেতার কল দেয়া হয় না। মুখের বুলি আর গুলি গা সহা হয়ে গেছে। গায়ের চামড়া বেশ পুরু, গণ্ডারের চামড়ার চেয়েও মোটা! তোমরা গালি দাও, 'শুয়োরের বাচ্চা' 'কুত্তার বাচ্চা' চাপা কণ্ঠে জবাব দেই জ্বী জনাব, আপনারাই আমাদের 'বাপ-মা'। বোঝার শক্তি, বোধগম্যতা সব হারিয়েছে নেতৃত্বের কোন্দলে, অতল গহ্বরে। প্রশ্ন করো না, নিজের কাছেই উত্তর আছে, জেনে নিও।