স্বপ্নের পৃথিবী ক্ষুধার্থ মানুষগুলো যেন আজকাল ক্ষুধা বোঝে না পেট তার পিঠের সাথে মিশে থাকে চোখ দু'টিতে এক অব্যক্ত কষ্ট এলোমেলো ঘুরাফেরা করে অশ্রুভেজা চোখে টলমল পানি নিজের অজান্তে গড়িয়ে পড়ে মাটিতে। দখিনা বাতাস গাছের পাতা দোল খায় ভরদুপুরে ঝিরিঝিরি বাতাসে শীতলের পরশ পায় নিস্তেজ ঘর্মাক্ত শরীর চড়ুইপাখি ঘুরে বেড়ায় চারপাশে ধনীরা এসিতে শুয়ে সুখ খায় বিছানায় অতিভোজনে অনেক কষ্টে সময় কাটে। রাস্তার পাশে দালানগুলো বাড়তে থাকে স্বপ্নের মত রাতের আঁধারে সবার চোখের সামনে দৈত্যের মত ভিখারির হাত উঁচুতে উঠেনা চোখদুটো বুলেটের মত বের হতে চায় দুখের আগুনে পোড়া শরীর দেখতে ঠিক যেন পোড়া কয়লা জগতসংসারে। মানুষে মানুষে চরম ভেদাভেদ তবুও মুখে বলে সবাই সমান সমাজে মানুষরূপী মানুষগুলো হেঁটে বেড়ায় স্বার্থের খোঁজে পশুরা ঘাস খায় মাঠে ভরদুপুরে গড়ে তোলে যে দেহখা না অতি কষ্টে মানুষ তাদের করে ভক্ষন খুশি ভরে।