যখন তুমি বৈশাখী বাতায়নে থালার মত গোল নিরেট চাঁদের পানে চেয়ে পুলকিত হও- হয়তো ভুলে যাও একটু দেরী করে হলেও, ফুসে উঠবে কালবৈশাখী ঝড়, তাণ্ডব চালাবে, শত কষ্ট করে কেউ হয়তো এনে দিতে পারে একটুখানি আগাম বার্তা। সে ঝড় থামিয়ে দিতে পারবে না কেউ। পৃথিবী নড়ে বসবে, লন্ডভন্ড হবে সব। যদি সাধ্য থাকে তাকে নিবৃত্ত করে দেখাতে পারো, হতে পারো মহাবীর। জাগতিক চেতনায় তুমি হও পানির মত স্বচ্ছ, পরিশুদ্ধ। তবুও নিজেকে দশে দশ দিবে কি? তুমিতো মানুষ। ভুলের উর্ধ্বে নও। জীবনে তুমি একজনকে মানিয়ে চলতে পারো, সকলকে নয়। জীবনের চারদিকটায় যখন দেয়াল তৈরী হয় তাকেই বলে সমাধি। অবরুদ্ধ জীবনে যখন স্বাধীনতা খর্ব হয় সেটাই মহাপ্রলয়। আর নিজেকে যখন মাটির খুব কাছাকাছি মনে হয় তখনই মানুষ বুঝে সে কতোটা নির্বোধ। একটু ঘুরে দাঁড়াতে বড্ড ইচ্ছে করে, অথচ, চারদিকে তাকিয়ে দেখি আশেপাশে কেউ নেই। একাকী পথচলায় বাড়ে আস্থাহীনতা, বেড়ে যায় দৈনতা। অসহায় মানুষগুলো তাই উপরে তাকায় ধর্ম বিশ্বাসে। অপেক্ষায় থাকে, দেখতে চায় কখন শূণ্যে নামবে সব জালিমদের কোঠা। শেষ হবে চাপা কান্নার মতো নীল কষ্টগুলো!