বর্ষা নামে তোমার গোমড়া মুখ দেখলেই বুঝি সহসা আষাঢ়ের বর্ষা নামে সাদা বক উড়ে যায় আকাশে পড়শির মায়াবী মুখটায় উঁকিঝুঁকি ঝুমবৃষ্টির উল্লাস তুলোর মতোন ভেসে বেড়ায় শীতল বাতাসে। দিনের বেলা অনেক খুঁজাখুঁজিতে হেঁটে বেড়াই শহরের অলিগলি পাশের বাড়িঘরগুলো ঘুমে কাতর জানালায় কে যেন দাঁড়িয়ে প্রতীক্ষায় শালিক কাকাতুয়া বসে গাছে গাছে রিমঝিম বৃষ্টি গান গায় সারাদিন। সকালে কদম ফুলের প্রথম হাসিটা চোখে ভাসে সারাক্ষণ সূর্যের কোনো দেখা নেই সারাদিন খিচুরি রান্নার ধুম পড়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘোমটার ফাঁকে গিন্নির মুচকি হাসি আচমকা কেড়ে নেয় মায়াময় দৃষ্টি। এভাবেই সন্ধ্যা নামে ধরণিতে ঝিঁঝিঁপোকার চিৎকারে রাত হাসে ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘিরে ফেলে পৃথিবী ছোট্ট শিশুটি বর্ষার ছবি আঁকে প্রকৃতিতে গুমোট গুমোট ভাব পাগল ঘুরে বেড়ায় আনন্দে রাস্তায়। বর্ষার রাত যেন শুনশান নীরবতা থেকে থেকে মেঘের কানফাটা গর্জন শিশুরা ভয়ে লুকায় মায়ের আঁচলে খেটে খাওয়া মানুষেরা ঘুম যায় নিরিবিলি সাধের বিছানায় ধনীদের দু'চোখে স্বপ্ন ঘুরে বেড়ায়।