এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
শনিবার, 12 ফেব্রুয়ারী 2022 14:53

অপরাজিতা নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                অপরাজিতা

হাজারো ক্রূর নব্য নেকড়ের চক্রব্যূহে,
একাকী এক নারী!
আসি ঘেরিছে চারপাশ, থরথর আকাশ বাতাস, 
লাখো শয়তানের শ্লোগানে শঙ্কিত ধরণী!

না! 
অবলা সে নয় , সে সম্ভ্রান্ত, সে মহান হিজাবী। 
ঝাঁন্সীর রাণী, ফাতেমা শেখের যোগ্য উত্তরসূরী,
সে বাংলার বেগম রোকেয়া, 
সে শাহিনবাগের বিলকিস দাদি।
সে বেগম হজরত মহল, সে মাতা মাতঙ্গিনী,
সে মালালা নয়া ভারতবর্ষের,  
সে ফারজানা জামিয়া মিলিয়ার!
সে মুস্কান চেহারায়, চিত্তে তার দিদি মেরিকম। 
হার না মানা ভারত-কন্যা সে, 
শেখেনি কখনও দমিতে, 
সাহস তার নয় কম!

সওয়ারী অবরূঢ় তব তেজোদীপ্ত অচঞ্চল সঞ্চরণে,
সুদৃঢ় দ্বিচরণের স্পর্শে কাতর সে বক্ষে,
ফিরে আসে প্রাণ মোমিন ভারতের জমিনে।
চকিত সোচ্চার আওয়াজে চমকিত ধরনী, 
লিখা হয়ে যায় নব আখ্যান।
নিখিল বিশ্ব তাকিয়ে দেখে কি পরাক্রান্ত বর-নারী  হিন্দের! 
শৌর্যে যে অতুলনীয় মহান।
অবলা নারী ছিলো যারা এতদিন, 
তাদের কন্ঠেও আজ আসে জোর।
বলীয়ান লাখো মুস্কান হয়ে ওঠে 
নয়া ভারতের তীক্ষ্ণ কঠিন কন্ঠস্বর।
প্রগতিশীলতায় জোয়ার আসে, আসে উদ্যম।
নির্বাক বাক পায়, তুমিই তাদের হক মাধ্যম।

মুসকান তোমার দৃঢ়তা।
মুসকান তোমার নির্ভয়তা।
মুসকান তোমার সাহসিকতা।
মুসকান তোমার অনমনীয়তা।
তোমায় করেছে অনুকরণীয় অতুলনীয়া।
ভুলন্ঠিত যে দেশের মান-সম্মান, 
প্রতিরোধে করেছো তোমার ভারতকে মহীয়ান!

হে নারী ! তোমার নিরাপত্তা থাকবে অন্যের মুখাপেক্ষী?
আজি দেখো ফিরে প্রজ্বলিত তব অসাধারণ মূর্ত মানস শক্তি!

যারা চেয়েছে রমণীকে জব্দ করতে চিরন্তন,
যারা এসেছে চেয়ে নারীর অপমান নিরন্তর, 
যারা করেছে নারীকে দমাতে নিপিড়ন নির্যাতন,
যারা ছিনিয়েছে নারীর বুকের বস্ত্রের অধিকার।
যাদের সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে,
বর্বরোচিত নিষ্ঠুরতা, হিংসা আর বিভৎসতায়, 
হেরেছে মুসোলীনি হিটলার।

তাদের মুখের উপর তোমার আকাশপানে মুঠিবদ্ধ বলিষ্ঠ সে একখানি কর,
তোমার প্রভূর নামে গগনভেদী 
সে ডাক আল্লাহু আকবার!
সবার মালিক, সাম্যের সংকেত একটাই 
সেই জগৎ স্রষ্ঠার জয়গান।
হুজ্জত পৃথিবীটা পেয়েছে ভরসা 
পেয়েছে বুকে বল বিশ্বব্যাপী
আগামী প্রজন্মের আঞ্জুমান!            
            
434 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ রবিবার, 27 ফেব্রুয়ারী 2022 11:20
শেয়ার করুন
সেখ কামারুল ইসলাম

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার হাটুড়িয়া গ্রামের অধিবাসী । মূলতঃ প্রবন্ধ লিখলেও মাঝে মধ্যে ছোট গল্প-কবিতা লেখেন । টেলিকম টেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর সেখ কামারুল ইসলাম বর্তমানে লোকো পাইলট হিসেবে ভারতীয় রেলওয়েতে কর্মরত । সমাজসেবার নানান কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্য সেবাও করে চলেছেন ।

সেখ কামারুল ইসলাম এর সর্বশেষ লেখা

একই ধরনের লেখা