শিপ্রা, সেই চেনা বসন্তেতুমি ছিলে আমার অন্ধকার আকাশের বুকে
এক ফালি জোস্নার চাঁদ হয়ে।
তখন তোমার ভালবাসার স্বচ্ছ আলোতে
আমার অনুর্বর পৃথিবীতে
উৎসব চলতো বেহিসেবে।
স্বপ্নের ঘাস ফড়িংয়েরা
চুমু খেত নরম ঘাসের বুকে মহা সুখে।
তারপর সময়ের নিলর্জ্জতায়
দুষ্ট গ্রহের পৃষ্ঠপোষকতায়
একদিন তুমি পা বাড়ালে অনাদরে।
এখন তোমার মাঝে অন্য রকম গন্ধ
তোমার শরীরের সব চেনা ইতিহাস
মুছে দিতে চাও অসভ্য শিল্পসত্যায়।
তারপরও আঁকা বাঁকা এই বুকে
মিশে আছো সেই নিষ্পাপ শিপ্রা হয়ে
যেমন ছিলে দেড় যুগ আগে।
আজও তোমার সাথে আমার কথা হয়
বেদনায় নিস্তব্ধ নিঝুম রাতের পরে।
কান পেতে শুনি তোমার সেই স্বপ্ন কথাগুলো
বাতাসের মিষ্টি সুরে।
তখন আমি শ্রাবণ বিলাসিতায় মেতে উঠি অকৃপণতায়ভুলে যাই নরম, উষ্ণ সব কাব্যিকতা।
কিন্তু কেন শিপ্রা?
আমিতো পৃথিবীর সব সরস রূপ অস্পর্শ করে
সব বিলাসিতা দুপায়ে ঠেলে
একটা সুন্দর ভালবাসা চেয়েছিলুম তোমার কাছে।
কিন্তু কেন তোমার স্বার্থের অসৌখিন টার্গেটে
আমার বুকটা ঝাঝড়া করে দিলে।
কেন খুন করলে আমার সবুজ ভালবাসা?
কেন বাঁচতে দিলেনা তাকে কাব্যিকতায়?
ভেবেছিলুম সব কিছু ভুলে যাবো
চলে যাবো বহু দুর।
তারপর নতুন রাজ্যে হাসনা হেনা ফুটাবো
বসন্ত আনবো সৌখিনতার দামে
উচাটন মনে গান ধরবো নব বিলাসিতায়।
কিন্তু সব খানেই ব্যর্থতার আত্নচিৎকারে আমার মহাপরাজয়।