ছায়া ঘেরা গাছ আছে পুকুর ভরা মাছ আছে পাখির ডাকে মন জুড়ানো নিত্য সকাল সাঁঝ আছে। কাজের ফাঁকে বটের ছায় ইচ্ছে হলেই গাও জিরায় কিচ্ছা বলার সেই আসরে মদন কুমার নাও ভিঁড়ায়। মা-মেয়েতে তেল হাতে তেল হাতে যায় তেলদিতে বারান্দাতে বসে বিধু চুলের বেনি বেশ গাঁথে। গ্রীষ্ম কালে গাঁয়ের মেলায় মেতে উঠে লাঠির খেলায় হাড়ি ভর্তি মিষ্টি দেখে মুচকি হাসে শশুড় বেজায়। ছই উঠিয়ে গরুর গাড়ি বউ চলেছে শশুড় বাড়ি লাল শাড়ীটা পড়া দেখে ঘটক ব্যাটা নাঁচায় দাড়ি। সন্ধ্যে হলেই উদাস বধু পথচেয়ে রয় শুধুই শুধু মিনসে কখন ফিরবে বাড়ি দাঁতে হাসি মুখের মধু। ঝমঝমাঝম বৃষ্টি হলে মধুর সুর টিনের চালে খড়ের ঘরে হরেক সুরে দারুণ মজা সমান তালে। গোছ রোপাণো দেরি হলে সকল কৃষাণ মিলেজিলে গোছাল পণের কল্যাণেতে গোছ রোপাণো সেরে ফেলে। হামাল দিস্তায় পান থিতিয়ে দাদা দাদী যায় চিবিয়ে পুকুত করে পানের পিকে মাটির দেয়াল দেয় রাঙিয়ে। খালে বিলে ঝিলে ভরা ঝিলমিলে-রং ভরায় চড়া ছলাৎ ছলাৎ বয়ে চলে ছোট্ট নদী মনটা কাড়া। ফসল কাটার মসুম এলে ব্যস্ত সকল ছেলে পুলে আঁটির বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষক চলে কোমর দুলে। সন্ধ্যা বেলায় ডাক চইচই হাঁসে গলা মিলায় যে ওই হাম্বা ডেকে সাম্বা নেচে এঁড়ে ছুটে গেলো যে কই? এমন সুন্দর আমার গাঁ মনে চাইলে দেখে যা হৃদ মাতানো আমার গাঁয়ে আসলে কভু ফিরবি না।