কমলাপুরের বস্তির ছেলে, ডাক দিনু যেই টোকাই বলে, ছেলেটি তখন মুচকি হেসে বলল আমার কাছে ঘেষে, কি কইলেন সাব ‘টোকাই’। কেউ আমারে কইলে ‘টোকাই’, মনের মাঝে দুঃখ যে পাই। কি সাব চাইয়া দেখতাছেন কি? ভদ্দর লোকের পোলা অইলে কি কইতেন? কইতেন না সাব খোকন? হ্যাঁ হ্যাঁ তাতো বলতাম- আচ্ছা কি যেন তোর নামঃ- ‘খোকন’ তয় আমারে চিনে সবাই, ছোড বড়য় ডাহে টোকাই। করিস কি তুই? সারা বেলা টানি বোঝা ভাত পাইনা তাই থাহি রোযা। সারাবেলা যা কিছু পাই হেইডা দিয়াই পেট চালাই। থাকিস কোথায়? থাকমু কই আর- ইষ্টিশনের বারান্দায়, হুইসাল দিলে হজাক অমু, দুপুর রাত কি বারোটায়। ইট দিয়া বালিশ বানাই, পেপার দিয়া অয় বিছানা, কি কন সাব, ‘বিশ্বাস অয়না’ জিগান তাগো, কতা কিন- মিছানা। বাড়ি কোথায়? আজকা না সাব, আরেকদিন সময় আমার অল্প, গাড়ি আবার হুইসাল দিছে ভাল্লাগেনা গল্প।