হে মা, শাড়ির আঁচলে আর মুখ লুকাসনে এবার কথা বল। স্বাধীন দেশটা আমার আজ বড্ড অসহায় মাতৃভূমির হ্নিত জন্মানোর সে মানবটা কোথায় লুকিয়ে আছে অরণ্যে। হে আমার শিক্ষিত মা, শিক্ষিত জাতি গড়ার তুমি কারিগর সে শিক্ষা দাও, দেশদ্রোহী হতে মিত্র হলেও তার রক্ষা নাই এমন এক বীরকে জন্মাও, যে বীর জাতির কল্যাণে অনায়সে নিজ জীবনকে করবে উৎসর্গময়। এমন এক মহত্বকে জন্মাও যে একাকী নিশি দেখবে জাগি অনাহারে কেহ শুয়ে আছে নাকি চৌরাস্তায়। মাগো? তোমাদের অহরহ সন্তান আজ বাংলার ঘরে ঘরে তবে কি করে ছেঁয়ে গেল দানবে দেশটা তুমি কি একটুও তাকে করনি সংশোধন একটুও কি মমত্ববোধ দাওনি মাতৃভূমির চরণে নিভৃতে করিতে আহরণ। ও মা, ওরা কারা, নিজ ভাইকে মেরে পুঁতে ফেলে অহৎ বুক ফুলিয়ে হাটে তার বাপের রাস্তায়। ও মা, ওরা কারা, শুধু শোষণ করার জন্যে রাজনীতি করতে আসে। অথচ দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাকিয়ে আছে তাদের কাছ থেকে পাবার আশায়। তুমি মা সব দেখেও কেন নিরব রওগো মা, কারণ তোমার অন্তরাতেই ছিল সেই ভুল তারে মায়া মমতা দিয়েছে, আদর স্নেহ করেছ, মাতৃভূমির হ্নিতকে তার মনে কখনো জাগাওনি। তার অন্যায়ে তুমি লজ্জিত আজি তবুও রুখতে সাহস পাওনি। হে মা, এবার একটু আবদার করি, আগামীর সন্তানকে মা ডাক শিখতেই মাতৃভূমি কাকে বলে শেখাওরে মা, দেখবে তুমি জয়ী ঐ হিংসুটের কাছে কে বলে বিশ্ব দোয়ারে তুমি অসহায় তুমি মহত্ব হয়ে রবে সততের পরতে পরতে তুমি আমার মা, আমাদের মা তোমার সম্মানে লড়ব আমরা করব বিশ্ব জয়। হে মা, তোরে ভালবাসিরে মা, তোরে বড্ড ভালবাসি, তোর ন্যায় এই মাতৃভূমিটাকেও ভীষণ ভালবাসি হে মা এই মাতৃভূমিটাকেও ভীষণ ভালবাসি। আবুধাবী/ ২-৫-১৫/ শনিবার