চিঠি-০৩ যুথি,জানি তুমি ভালো নেই! অনেক বদলে গেছো; হয়েছে কিছু পরিবর্তন । সেই কবে তোমাকে দেখেছিলাম নবান্নের উত্সবে জলসিঁড়ি নদীর ধারে;ঝাউবনের পাশে । সেদিন চৈতির পড়ন্ত বিকেলে হঠাত্ তোমাকে দেখে একটু অবাকই হলাম;বিস্মিত হইনিও কম । চোখের নিচে কালি জমে গেছে মনে হয় অনেক রাত না ঘুমিয়ে সকালের সূর্য উদয় দেখেছো । মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে; হাসলে আর গালে টোল পড়েনা । নীল কপালের ভাঁজে জোনাকির মতন কালো টিপ পরোনা । মনের ভিতর প্রশ্ন জাগলো--- যাকে ভালোবেসে বুকে নিয়েছিলে সেও কি--------? না থাক ! কি সব বলছি-----! যুথি,একটা অনুরোধ করবো বল ! রাখবে তো ----? আর একটি বার বৈশাখের প্রথম দিনে বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে;খোপায় বেলী ফুল গেঁথে;হাতে সুগন্ধী ফুল নিয়ে লাজুক নয়নে আমার সামনে দাঁড়াওনা । শাড়ির আঁচল দুলিয়ে ;দুজনে পাশাপাশি হাত ধরে চলোনা আর একবার হারিয়ে যায় সবুজ গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে দিগন্তের ওপারে । যুথি,সত্যি বলছি শুধু একবার বিশ্বাস কর শুধুই একবার ! চলোনা হেমন্তের গোধুলী আঁধারে পানকৌড়;শঙ্খচিলের ভিড়ে ভেসে যায় ঐ জলসিঁড়ি নদীর ঢেউয়ের তালে-তালে ভালোবাসার গভীর সাগরে । যুথি,জানি তোমার সময় হবেনা ! তবুও বলছি একবার এসো না আমার আকাশে;শ্রাবণের বৃষ্টি হয়ে নয়;এসো সকালের কদম ফুল হয়ে জীবন সুভাসিত করতে । 04/04/15