তখন বয়স কতইবা ছয় কিংবা সাত কিংবা তারও একটু বেশী মনে পড়ে একদিন মায়ের গলা জড়িয়ে বলেছিলাম জানো মা আজ কী স্বপ্ন দেখছি? মা সেদিন আদর করে বলেছিল জাদু আমার, লক্ষী আমার স্বপ্ন দেখতে নেই, বলতেও নেই? তাতে অমঙ্গল হয় বাছা? সেদিন মায়ের কথা ততটা বুঝিনী বুঝিনী কেন স্বপ্ন দেখতে নেই, কেন স্বপ্নের কথা বলতে নেই? অবুঝ মনে ভাবতাম স্বপ্ন দেখলে কী হয় স্বপ্নের কী হাত আছে, পা আছে যে আমাকে কষ্ট দিবে? তারপর যদিও স্বপ্ন দেখতাম তা ছিল অস্পষ্ট । অবশেষে একদিন অষ্টাদশী বয়সে স্বপ্ন দেখলাম বাস্তব স্বপ্ন তোমাকে নিয়ে নারী? তোমার স্বপ্নে তখন অস্থির আমি। সেদিন অবুঝ শিশুর মতন মায়ের গলা জড়িয়ে বলতে পারিনী জানো মা আজ কী স্বপ্ন দেখছি? শুধু তোমকে বললাম নারী আমার স্বপ্নের কথা? তুমি শুনলে, মৌনতায় হাসলে। আমি তখন স্বপ্ন বিলাসিতায় এক নতুন পৃথিবীর রাজা। তারপর সেখানে খুশির জলসা বসালাম তুমি আসলে,হাসলে, গাইলে শরাব ঢেলে দিলে আমার পেয়ালে অবশেষে আমি উপহার দিলাম ভালবাসা তুমি গ্রহণ করলে স্বশব্দে। আমার পৃথিবীতে বসন্ত এল ফুল ফুটল ভালবাসার সুখের স্বর্গ সুধা নেমে এল শিরায় উপশিরায় স্বপ্নে ভরে গেল আমার পৃথিবী সবুজ মাঠ। তারপর ক্রমিক ধারাবাহিকতায় শুল্ক পক্ষের রাত পোহাতেই সময়ের অস্তির কাটার মতন হয়ে গেলে দুরন্ত সব কিছুতেই তখন দরকষাকষি তুমি বদলে গেলে নারী। তুমি তখন নতুনের ছুয়াই ব্যস্ত। আমার স্বপ্ন ভেংগে গেল বসন্তের রং ফ্যাকাশে হয়ে গেল সমস্ত স্বপ্ন ঝরে গেল ভালবাসা হারিয়ে গেল স্বপ্নের পথ বেয়ে আসল গ্রীষ্ম ব্যর্থ হয়ে গলে আমার পৃথিবীর ইতিহাস। আমার যন্ত্রনার চিৎকারে ইথার কাপলো অথচ তুমি শুনলেনা নারী। তুমি চললে তোমার স্বার্থের পথে তবুও আত্নপ্রত্যায়ের শক্তি দিয়ে তোমাকে কাছে পেতে চাইলাম নারী কিন্তু পেলাম না? তুমি হারিয়ে গেলে নারী ভুলে গেলে আমাকে? সেদিন মায়ের কথা বৃঝিনী বুঝিনী কেন স্বপ্ন দেখতে নেই, কেন স্বপ্নের কথা বলতে নেই মায়ের কথা শুনিনী তাই আজ জ্বলছি।