শ্রাবণ দিনে আজি এই অঝর শ্রাবণে ঘোলা-ঘোলা মেঘ গগণে কেমনে যাইবে পথ ? সম্মুখে অনেক বিপদ ! আউস ধানের ক্ষেতে বাতাস উঠেছে মেতে । আকাশে বিদ্যুতের বিজিলিকা তোমাকে যেতে হবে একা অতি বর্ষণে দুর্গম পথে পড়ে কি রবে কদম শাখা ? আজিকার এমন বরষায় আলতা দেয় কি কেহ পায় যদি আজি বৃষ্টি ধারায় পায়ের রং মুছে যায় প্রিয়র দ্বারে যাবে কি লজ্জায় ? এমন দিনে আছে কি বসে ? আছে কি কোন্ দুয়ার খোলা ? এমন মধুর বৃষ্টি শেষে আকাশ যেথা মাঠে মিশে এমন সময় কেহ এসেছে কি পাশে ? যদি আজ দ্বীপ জ্বালো সন্ধ্যায় আলোকিত হবে কি আলয় ? বাঁশি বাজে যদি দূরে পাই যদি গাধ সুরে অঝর শ্রাবণ দ্বারায় ? যদি বৃষ্টি শুরু হয় আবার যদি মন ধরে বিশাল আকার তুমি কি করিবে তখন ? যেতে তাই হবে এখন ! পথ যদি হয় অসীম আঁধার । বুকে যদি ভয় থাকে আমায় নিবে ডেকে ? আমি তো ছিলাম বসে এই পথের শেষে যেথা বিবাগী পাখি ডাকে । কখন নেমে গেছে রাতি হয়নি এখনো কেহ সাথী আজি কাউকে দেখেনি দ্বারে শূণ্য মনে ছিলাম দুয়ারে পাখিরা করেছে ব্যর্থ সারথী । গর্জে উঠেছে ঝড় যতবার মেঘে ঝরেছে যত বারিধার বৃষ্টি মধুর দুপুরে এই পথের ধারে আমি তো যেতাম শতবার । বিদ্যুতের রঙিন শিখার তালে মন উড়ে যেত মেঘের পালে দখিন সমীরের টানে মনের এই বাতায়নে মুখ লুকাত তোমার আঁচলে । আজি তুমি আমি দুজনে নিরবে প্রেম সুখ ভুবনে ঘুমিয়ে আছে যে পাখি দিওনা কভু তারে জাগি হারাবো দুজন স্বপীল ভুবনে । আজি কেন সে তোমার দ্বারে ? তাহলে কি সে এসেছে ফিরে ? আজি এ অঝর শ্রাবণে পড়িলো তোমার মনে দিয়েছিলে মন যারে । 16/01/13