সৃষ্টির চোখে ঘুম নেই শয্যাশয়ী হৃদয়টায় হতাশা নেই ক্লান্তি নেই অসচল জীবনটাতে নেই ভাবনা অস্থির সময়ের যদিও দেহ মনে সৌর্য বীর্য বাহিত কামনার নেই কোন উষ্ণ গন্ধ নগ্নতার নেই কোন দাহ্য বাসনা আছে শুধু ধব্বংশের নিস্তব্দ জয়ন্তী অণ্ধকার। কিন্তু এইতো সেদিন যৌবনের বসন্ত মুখুর লগ্নে তোমার উষ্ণ ভালবাসার পরশ পেতে জীবন গাংগে কামনার ঢেউ উঠেছিল বেহিসাবে উচাটন মনে সুখের কাব্যিকতা চলছিল অনবরত তোমার সুনিপুন আঙ্গিনা লয়ে শান্ত পায়রা হয়ে বুনেছিলাম আগামী সোনালী প্রভাতের প্রথম আলো। ভেবেছিলাম সুস্থ ভালবাসার প্রাচীরে হেলান দিয়ে দুর নক্ষত্রের স্বপ্ন ছুবো ধারাবাহিকতায়। কিন্তু হঠাৎ নিজস্ব টানে অনাদারের সৌখিনতায় ভেদাবেদের প্রাচীর তুলে দিলে মনের সীমানায়। সহভাবনার পরিবর্তে উপদেশের সোনালী বর্ণ দিলে। বহু প্রতীক্ষার সোনালী সময় পেরিয়ে হয়তো আজ সবই সময় সেতু লোকে বিলীন। তবুও ঐযে স্মৃতির এ্যালবাম স্বপ্নের সবুজ মাঠ ঝাঝড়া দেহে দাড়িয়ে থাকা আকাশটা গোলাপের ঝাড়, উপন্যাসের ট্রেজেডী অধ্যয় সবই আছে আগের মতোন শুধু তুমি নাই। তবুও স্বপ্ন বিলাসিতায় বার বার খুঁজে পাই একটি সবুজমাঠ, কচি ঘাস, ঘাস ফড়িং কী রকম নিরভাবনায় মিশে আছে ভয়হীন কাব্যিকতায়। কিন্তু সেই সবুজ মাঠের কচি ঘাসের ঘাস ফড়িং আজ বিংশ শতাব্দীতে পৌনাঙ্গ যৌবনা ছোট্র শিশুর আদরের মা।