আমার এ বুকটাকে বুলেটে বুলেটে ঝাঁঝরা করে দাও--- রক্ত নদীর ডেউ-তালে ভেসে ওঠা রঙ্গিন স্বপ্নের সিটমহল গুলো, তোমাদের বুটের তলায় পিষে পিষে সে ফুল শয্যার রাতের মত দগ্ধ হয়ে যাক, আমার কিচ্ছু যায় আসে না---কবিতা আমি লিখবোই, ইচ্ছে হলে দেহের জৈবিক আকাঙ্খাসহ আমাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে, তোমাদের সুসজ্জিত বার্ণ ইউনিটে চালান করতে পার কিংবা আমার এ পৈত্রিক দেহটা, যাতে তোমাদের কোন অধিকার নেই, কুটি কুটি করে কেঁটে ফারাক্কার মাঠে পুতে রাখতে পারো, কিংবা এমনও করতে পারো অস্ত্রোপচার করে করে, ভেতর থেকে মৌলিক কিছু বিষয় যাকে তোমরা রোগ বলো, বের করে তোমাদের কুটিল ইচ্ছার বীজ বপন করতে পারো; আমার অস্তিত্বে নেশাগ্রস্তের মত আমাকে হাতড়ে ফিরতে পারো--- না, পাবে না---আমার মধ্যে আমাকে পাবে না। কবিতা আমার অস্তিত্বে, মুগ্ধতায়, সুখে, দুখে, শ্রাবনে-ফাগুন, স্বপ্নে-জাগরণে, মৃত্যুর আর্তনাদে কবিতা আমার বিশ্বাসে নিঃশ্বাসে, আমার ভালোবাসায়, কবিতা আমি লিখবোই। সবুজে-শ্যামলে, ঘরে-ঘরে মৃদু মলয়ে-কাননে, পাখিদের প্রাণে প্রাণে, প্রকৃতির শিহরণে-গানে আমার কবিতা শুধু নতুন সভ্যতা হয়ে রয়ে যাবে, তোমাদের অবয়বে জ্বলবে আমার কবিতার মৌলিক আলো--- কবিতা আমি লিখবোই, আমি কবিতা লিখবোই। বরিশাল, রাত-৯টা, ১১/০২/১৫।