মঙ্গলবার, 23 জুন 2015 13:03

ছায়া ও সঙ্গীর ফোনালাপ নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(1 ভোট)
                ছায়া ও সঙ্গীর ফোনালাপ

"ভালোলাগছে না, কিছুই ভালোলাগে না
মন চঞ্চল, উদাস, কি চায়---
কেন এমন হয়, বুঝতে পারিনা।
দেহটা মনের সাথে তালমিলিয়ে, বায়না ধরছে
নিস্তেজ, অবসন্ন, ক্লান্ত হয়ে পড়ে থাকবে।
দূর্বোদ্ধ এক ঝাঁক শুন্যতা
নিজের অজান্তে যেন, কোথায় 
অজ্ঞাতে অজানায় উঁড়ছে
উঁড়ে যাচ্ছে---আমি যেন আমি হারা,
না, ভালোলাগছে না--"

যেন কথার স্রোতধারা, থামতে চায় না,
জানতে চাই, কেন এমন লাগে?
শোনা গেল--
"বুঝি না, এলোমেলো মনে হয়,
ভেতরে অস্থির সময়
বেশ ফাঁকা ফাঁকা,
অশান্ত---"

স্বপ্ন দেখ, শুধু স্বপ্ন---
হাঁ-হাঁ ঘুম ছাড়া স্বপ্ন দেখা যায়?---শোন
দু'চোখ বন্ধ করে,  নিজের
ভেতরে চেয়ে দেখ, 
আরো একটু শান্ত হয়ে
হৃদয় দিয়ে অনুভব কর---

"ঠিক আছে।"

ঠিক আছে, তা হলে এবার ভাবো--

একটি সাজানো গোছানো খামার বাড়ি
চারদিকে গাছ-পালা তরুলতা ঘেরা,
অনেক বিচিত্র পাখী ডালে ডালে
এগাছে ওগাছে বসে 
খেলছে উদ্দেশহীন, লুকোচুরি খেলা।
সাজানো গোছানো পরিপাটি প্রতিটি ঘর
তোমার কারুকাজের ঝকঝকে ছোঁয়ায়
সাড়া জাগানো আয়োজনে---
ভাবো, প্রতিক্ষা কাতর তুমি
বসে আছো একা।
হঠাৎ আপন খেয়ালে 
কিছুটা সুরেলা পথ হেঁটে
তোমার সাজানো ফুলেল বাগানে
একান্তে বসে
তোমরা দু'জন---

"দু'জন মানে?"

ধর, তুমি আর, তোমার একান্ত প্রিয়
আপন একজন, খুব কাছে
পাশে  বসে হেসে হেসে
ফাগুনের মৃদু হাওয়ায় ওড়া
চায়ের ধোঁয়ার ফাঁকে ফাঁকে
খুঁজছো, অনাগত--- 

"ঠিক আছে, ধরে নিলাম এখন সে
আমার অতি কাছে, পাশে বসে আছে--
আপন একজন, একান্ত আপন জন, 
খুব কাছে, হৃদয়ের চোখ দিয়ে---"

শোন, অনাগত সে সময় থেকে 
ঝড়ে পড়লো আনন্দের 
বিন্দু বিন্দু সুখ, তার পর 
সন্ধার মায়াময় 
মুগ্ধ আলোয় ঘেরা চারচোখে 
ঐ খামার বাড়ির বাতায়নে, দেখা গেল
ছায়া-চিত্রের  মত 
হাস্যোজ্জ্বল পবিত্র শিশুর 
হাসি হাসি মুখ---

"থাক থাক বুঝেছি,
হাঁ, এখন বেশ ভালোলাগছে
শরীর ও মন অনেকটা সতেজ, 
নতুন ছোঁয়ায়--"

নতুন ছোঁয়ায়! ---

হৃদয়ের সত্য যেন 
শব্দ খুঁজে না পেয়ে নিরব, নির্বাক
আনমনে বয়ে গেল কিছুটা সময়।

শান্ত প্রকৃতির বুকে  শব্দ হল,
আর কত দীর্ঘ হবে পথ---            
            
845 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ বৃহষ্পতিবার, 21 জানুয়ারী 2021 22:05
শেয়ার করুন
কে এম আলাউদ্দীন

কে এম আলাউদ্দিন বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামে পহেলা মে ১৯৫৩ ইং সনে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আব্দুল হামিদ মিয়া, মাতা মরহুমা রাবেয়া খাতুন। ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি সকলের বড় । শৈশবকাল হইতেই তিনি লেখা প্রতি ঝোঁক ছিল। তিনি বরিশাল এপেক্স হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হতে ডি.এইস.এম.এস. ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে আসছেন। সদা হাস্যোজ্জল ব্যক্তি তিনি। আলোর মুখোমুখি নামে তার একটি কবিতার বই ১৯৮৫ সনে প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানেও তিনি নিয়মিত ভাবে লিখে চলেছেন, সাহিত্যের একজন সেবক হিসেবে এখনও তিনি সক্রিয়। তিনি বর্তমানে ৭৭৫, সদর রোড, শাকুর ম্যানসন (ক্যাপ্টেন নজিব উদ্দিন ক্লিনিক সংলগ্ন) বরিশাল শহরে বসবাস করছেন।

6 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.