আমাকে জিজ্ঞেস করে কি লাভ কি লাভ আমাকে প্রশ্ন করে আমিতো প্রতিবারই বলেছি ক্ষ্যাপা, সাহসী সময়ের প্রতিবাদী যুবকটির অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর কারণ আমি জানিনা তার পরও আমাকে প্রশ্ন করবেন আমাকে স্বাক্ষী করতে চাইবেন কিন্তু কেন? অসম্ভব আমি স্বাক্ষী দিবোনা? কারণ আমার সতেজ বিবেক নষ্ট হয়ে গেছে আমার কন্ঠের ভলিউম অকেজো হয়ে গেছে পঁচা বর্বরতায় এখন আমি বিশ্বাসী। দেখুন আজ দুদিন হয় আমার নবাগত শিশুটির মুখে এক ফোটা দুধ তুলে দিতে পারিনী বার বার শুধু ওর রক্ত ভেজা কান্না শুনেছি কত দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে বোনটি আমার বিশ্বাস করুন একটা প্যারাসিটামল কিনে দিতে পারিনী ক্ষুধার যন্ত্রনায় স্ত্রী আমার মৃত প্রায় তার মুখে এক মুঠো অন্ন তুলে দিতে পারিনী ব্যর্থতার যন্ত্রনায় আমি বোবা হয়ে গেছি আমার সব সক্ষমতা স্থবির হয়ে গেছে আমি এখন জীবিত থেকেও মৃত। আর আপনারা এসেছেন আমাকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটতে শাসকের নির্দেশিত দায়িত্ব পালন করতে বছর শেষে প্রমোশনের একটা উপাদান তৈরী করতে দেখুনতো আমার শরীরে কত আঘাতের ক্ষত কত রক্তের দাগ লেগে আছে শরীরে কই আপনারা আমাকে একটি বারও জিজ্ঞেস করেননী কেন আমার এই অবস্থা, কেন এই পরিণতি? কেনইবা জিজ্ঞেস করবেন সবইতো আপনারা জানেন সেদিনতো আমরা ন্যায়ের কথা বলেছিলাম অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলাম অসহায় মানুষ গুলোর পাশে দাড়াতে চেয়েছিলাম সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,ঘোষ খোর আর দর্ষশন কারীদের বিচার চেয়েছিলাম কই সেদিনতো আপনারা এগিয়ে আসেননি নিরহী মানুষ গুলোকে অত্যাচার থেকে রক্ষা করতে যখন অসহায় মানুষগুলোকে ক্ষত বিক্ষত করলো শাসিত শোষকের হায়েনার দল সব কিছু লুটে নিয়ে গেল চোখের সামনে কই সেইদিনতো সব কিছু দেখেও না দেখার বান করেছেন মানবতার খাতিরে একটুও এগিয়ে আসেননি বরং নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য তাদের নিরাপত্তা দিয়েছেন কাপুরুষের মত অন্যায়কে পশ্রয় দিয়েছেন। নিরহী মানুষগুলোর বুকে গুলি চালানোর ইন্দন দিয়েছেন সেই জন্য কি আমি আপনাদের বিরক্ত করেছি কারো কাছে আপনাদের নামে নালিশ দিয়েছি তবে কেন আজ সব কিছু জেনেও আমাকে গ্রেফতার করতে এসেছেন আমাকে সেদিনের খুনের মিথ্যা স্বাক্ষী বানাতে চাইছেন অসম্ভব আমি স্বাক্ষী দিবোনা,মরে গেলেও দিবোনা কারণ আমি এখন জীবিত থেকেও মৃত বরং নিজেকে প্রশ্ন করোন, নিজের বিবেকটাকে প্রশ্ন করুন নিজের লালসা কাতর মনটাকে প্রশ্ন করোন দেখবেন একটা উত্তর পেয়ে গেছেন। আর একজন বিমূর্ত স্বাক্ষী পেয়ে গেছেন নিজের কাছ থেকেই।